ডেস্ক নিউজ : রমজানের পুরো মাস জুড়ে বিরাজ করে রহমত বরকত এবং ক্ষমার ঘোষণা। তবে এ মাসে রয়েছে বিশেষ এক মহিমান্বিত রজনী- লাইলাতুল কদর।
রমজানের কদর রজনীতে আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীম নাযিল করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-নিশ্চয়ই আমি কদর রজনীতে কুরআন অবতীর্ণ করেছি। সূরা কদর (৯৭):
আরো ইরশাদ হয়েছে- আমি এ (কিতাব) অবতীর্ণ করেছি বরকতপূর্ণ রজনীতে, বস্তুত আমি সতর্ককারী। সূরা দুখান (৪৪) : ৩
এখানে লাইলাতুম মুবারকা বা বরকতময় রজনী বলতে শবে কদর বুঝানো হয়েছে। তো কদর রজনী একদিকে যেমন মহিমান্বিত অপরদিকে তা অত্যন্ত বরকতপূর্ণও বটে।
লাইলাতুল কদর: যে রাতে গুনাহ মাফ হয়
এ রাতে আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত ও করুণা বর্ষিত হয়। নবীজী বলেন-…যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাব তথা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় লাইলাতুল কদরে কিয়াম (ইবাদত-বন্দেগী) করবে, তার পূর্বের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। -সহিহ বুখারি, হাদিস ২০১৪
তো ঈমান ও ইহতিসাবের উপলব্ধি জাগরূক রেখে লাইলাতুল কদরে কিয়াম (ইবাদত-বন্দেগী) করা বান্দার গুনাহ মাফের একটি বড় মাধ্যম।
লাইলাতুল কদর থেকে বঞ্চিত হওয়া অনেক বড় মাহরূমী
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে এত বড় সুসংবাদ পাওয়ার পর এ রাতের ক্ষমা ও রহমত লাভের চেষ্টা না করা অনেক বড় বঞ্চনার বিষয়।
হযরত আনাস রা. বলেন, রমযান আসলে নবীজী বলতেন- এই মহিমান্বিত মাস উপস্থিত। তাতে একটি রজনী রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হল সে যেন সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল। আর কেবল অভাগাই এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকে। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৪৪; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ২১০৬; সুনানে কুবরা, নাসাঈ, হাদিস ২৪২৭
সুতরাং হেলায় না কাটিয়ে কদরের রাতের কদর করা দরকার।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৪:৪০