সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন

তুরস্কে এএফপির সাংবাদিক গ্রেফতার, তোপের মুখে এরদোগান

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৮৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতারের পর থেকেই তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়েছে। এক দশক পর এমন আন্দোলন দেখছে তুরস্ক। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরও আন্দোলনকারীদের দমানো যাচ্ছে না। 

তুরস্কজুড়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ-আন্দোলন বুধবার টানা সপ্তম দিনে গড়িয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অন্তত সাতজন সাংবাদিক। তার মধ্যে এএপপির এক চিত্র সাংবাদিকও রয়েছেন। এ ঘটনায় বিতর্ক আরও বেড়েছে। মঙ্গলবার আন্দোলন থামাতে পুলিশ বড় ধরনের অভিযান চালায়। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। এএফপির চিত্র সাংবাদিক ইয়াসিন আকগুল মঙ্গলবার বিক্ষোভের ছবি তুলতে যান। প্রশাসনের অভিযোগ, ওই সাংবাদিক বেআইনি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

যদিও সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভে যোগ দিতে নয়, তিনি ওই বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন।  ঘটনার পর এএফপির সিইও ও চেয়ারম্যান ফেবরিস ফ্রাইস সরাসরি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি দেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করছি, আপনি সরাসরি এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবেন এবং সাংবাদিকের মুক্তির ব্যবস্থা নেবেন। এই গ্রেফতার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’।

এদিকে মঙ্গলবার অন্তত এক হাজার বিক্ষোভকারী ইস্তাম্বুলের সিসলি অঞ্চলে পৌরসভার দিকে মিছিল করেন। তাদের একটাই দাবি, সরকার পদত্যাগ করুক। তাদের হাতের পোস্টার ব্যানারে লেখা ছিল, ‘তাইয়েপের পদত্যাগ চাই’।

এরদোগানের হুমকি

এদিকে চলমান বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার ভাষায়, ইমামোগলুর গ্রেফতার নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে, তা ভিত্তিহীন। রাজনৈতিক কারণে ইমামোগলুকে গ্রেফতার করা হয়নি। বিষয়টি এখন আদালতের হাতে এবং দেশের আদালত স্বাধীন বলেও দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট।

সেই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এরদোগানের অভিযোগ, সিএইচপি জনগণকে উসকে দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, সিএইচপির জনপ্রিয় নেতা ইমামোগলু। ২০২৮ সালের নির্বাচনে তিনি এরদোগানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। সিএইচপি ইতোমধ্যেই তাকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

এরদোগান মঙ্গলবার বলেছেন, ‘রাস্তায় যারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, তাদের আন্দোলন কোথাও পৌঁছাবে না। তারা কানাগলিতে ঢুকে পড়েছে’।

বস্তুত, তুরস্কের রাস্তায় বিক্ষোভ-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আরও বড় আন্দোলনের ডাক

এদিকে এরদোগানের হুমকির মুখে দমছে না আন্দোলনকারীরা। বুধবার আরও বড় জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। 

এদিন সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল সিলভরি কারাগারে ইমামোগলুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ইমামোগলু সুস্থ আছেন, মাথা নিচু করেননি। পরিবার-সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এদিন ইমামোগলুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওজগুর জানিয়েছেন, দলের তরফ থেকে ইস্তাম্বুল পৌরসভায় একজন নতুন মেয়র নিয়োগ করা হবে। ইমামোগলুর বিকল্প হিসেবে যিনি আপাতত কাজ করবেন। 

এরদোগান যে বিকল্প মেয়র নিয়োগ দিয়েছেন, তা তারা মানছেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ওজগুর।

এদিকে আগামী শনিবার ইস্তাম্বুলে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তিনি। সমস্ত পেশার মানুষকে ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের জমায়েতে গিয়ে ওজগুর বলেছেন, ‘ইমামোগলুর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ বিচারের দাবিতে দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন হচ্ছে। সবাই এই আন্দোলনে যোগ দিন’। সূত্র: এএফপি

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৬ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৫:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit