লারার উইন্ডিজকে হারিয়ে মাস্টার্সের চ্যাম্পিয়ন টেন্ডুলকারের ভারত
Reporter Name
Update Time :
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
৮৩
Time View
স্পোর্টস ডেস্ক : গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) রাইপুরের শহিদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স লিগ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ভারত মাস্টার্স।
ব্রায়ান লারার নেতৃত্বে এই টুর্নামেন্টে খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে আগে ব্যাট করা ক্যারিবীয়রা নির্ধারিত ২০ ওভারে লেন্ডল সিমন্সের অর্ধশতক ও ওপেনার ডোয়াইন স্মিথের চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে আম্বাতি রাইডুর দারুণ ইনিংসে ভর করে ১৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় শচীন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন ভারত মাস্টার্স।
স্মিথ ঝড়ে ভালো শুরুই পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা। মাত্র ৩.৪ ওভারেই ৩৪ রান তুলে ফেলেছিল তারা। লারাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বিনয় কুমার। আউট হওয়ার আগে ৬ বলে ৬ রান করেন এই কিংবদন্তি। উইলিয়াম পারকিন্সকেও ৬ রানে ফেরান নাদিম। স্মিথ হাঁটছিলেন অর্ধশতকের পথে। কিন্তু দলীয় ৬৭ রানে এই ওপেনারও বিদায় নেন। ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৪৫ রান করে নাদিমের বলে বোল্ড হন স্মিথ।
মাস্টার্স লিগের শিরোপা নিয়ে ভারতের অধিনায়ক শচীন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক লারার ফটোসেশন। ছবি: সংগৃহীত
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাকি ইনিংসে একাই লড়েছেন সিমন্স। কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। রামপাল ২, ওয়াল্টন ৬ রান করেন। রামদিন যা একটু সঙ্গ দেন। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৭ রান করেন সিমন্স।
রামদিন ১৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন, নার্স করেন ১ রান। বিনয় কুমার ৩টি, নাদিম ২টি, নেগি ও বিনি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন রাইডু-শচীন জুটি। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে শচীন আউট হওয়ার আগেই স্কোরকার্ডে জমা হয় ৬৭ রান। ১৮ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করে বেস্টের বলে আউট হন শচীন। গুরক্রিত সিং ১২ বলে ১৪ রান করে নার্সের শিকারে পরিণত হন।
আম্বাতি রাইডু যুবরাজের সঙ্গে আরেকটি জুটি গড়ে ম্যাচ ভারতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। ৫০ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৭৪ রান করে রাইডু সুলেমান বনের শিকারে পরিণত হন। ইউসুফ পাঠান রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন।
যুবরাজ ও স্টুয়ার্ট বিনির জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় ভারতের। যুবরাজ ১১ বলে ১৩ এবং বিনি ৯ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। নার্স ২টি, বেস্ট ও বেন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।