স্পোর্টস ডেস্ক : রোববার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড। টস জিতে আগে ব্যাট করে কিউইরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছে। ২৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো অবস্থানে আছে ভারত।
শেষ পর্যন্ত ভারত জিতলে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে, নিউজিল্যান্ড জিতলে এটা হবে তাদের দ্বিতীয় শিরোপা। শেষ পর্যন্ত যে দলই জিতুক, হাতে শিরোপা তো উঠবেই, সেই সঙ্গে তাদের গায়ে উঠবে বিশেষ পোশাক। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য নির্ধারিত সাদা ব্লেজার গায়ে শিরোপা তুলে ধরবেন তারা। কিন্তু ক্রিকেটের এই মঞ্চে এই বিশেষ পোশাক এলো কীভাবে?
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তখন অবশ্য টুর্নামেন্টটির নাম ছিল উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ। প্রথম আসরের শিরোপাজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু এই সাদা ব্লেজার পায়নি। তখন টুর্নামেন্টটিতে এমন কিছুই ছিল না। প্রথম দিকে নকআউট পদ্ধতিতে আয়োজিত টুর্নামেন্টটিতে এক সময় যোগ হয় বাছাই পর্ব। সেই পর্ব পেরিয়ে এখন ৮ দলের টুর্নামেন্ট হিসেবে থিতু হয়েছে। প্রথম পাঁচ আসরে (১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০০৪ এবং ২০০৬ সাল) চল ছিল না এই সাদা ব্লেজারের। চ্যাম্পিয়ন দলকে সাদা ব্লেজার দেয়ার চল শুরু হয় ২০০৯ সাল থেকে। সেবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো সাদা ব্লেজার গায়ে ট্রফি উত্তোলন করে।
মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দলকে সম্মান জানাতেই এই সাদা ব্লেজার দিয়ে থাকে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ২০১৩ সালে ভারত এবং ২০১৭ সালের আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতের খেলোয়াড়দের গায়ে উঠেছে এই বিশেষ ব্লেজার। ভারতের সামনে আজ সুযোগ প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো এই ব্লেজার জিতে নেয়ার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়ানোর আগে আইসিসির এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওতে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম এই সাদা ব্লেজার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আইসিসি পুরুষদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেরার সেরাদের তুলে ধরে। সাদা ব্লেজার এর গুরুত্বের পরিচয় দেয়।’ জানা গেছে, মুম্বাইয়ের ফ্যাশন ডিজাইনার ববিতা এমের ব্রেইনচাইল্ড এই সাদা ব্লেজার। ইতালিয়ান উলের সঙ্গে টেক্সার এবং স্টাইপস দিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। সাদা রঙয়ের এই ব্লেজারে সোনালি সুতোয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগো এমব্রয়ডারি করা থাকে।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ মার্চ ২০২৫,/রাত ১০:০০