আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অধিবেশন চলাকালে সার্বিয়ার পার্লামেন্টের ভেতরে রঙিন ধোঁয়া উৎপন্নকারী গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা। এ সময় আহত হন এক নারী সদস্যসহ তিনজন।
খবরে বলা হয়, পার্লামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল সংক্রান্ত একটি ইস্যুতে ভোটাভুটির বিষয় উত্থাপন করে প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট-এসএনএস। কিন্তু এটিকে অবৈধ উল্লেখ করে সরকার ভেঙে দেয়ার দাবি তোলেন বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরও নানা ধরনের এজেন্ডা বাস্তাবায়নের চেষ্টা করছে সংখ্যাগরিষ্ঠরা। দলপ্রধান পদত্যাগ করায় বাকিদের কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের কোন এখতিয়ার নেই। আইনপ্রণেতাদের প্রথমে প্রধানমন্ত্রী মিলোসির ও তার সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
এরপর পর শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। একে অপরের দিকে ডিম ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিরোধীরা। এক পর্যায়ে পার্লামেন্ট ভবনে রঙিন ধোঁয়া উৎপন্নকারী গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেন। ধস্তাধস্তিতে আহত হন কয়েকজন। দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতেই এ কাণ্ড বলে দাবি বিরোধীদের।
এদিকে পার্লামেন্টে হট্টগোলকে রাজনৈতিক সহিংসতা বলে অ্যাখা দিয়েছেন দেশটির পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুচেভিচ। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদল নির্বাচন ছাড়াই নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। জনগণের ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ না দিয়েই দেশ দখল করতে চায়।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরও একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাচ্ছে প্রোগ্রেসিভ পার্টি। দ্রুতই তাদের পার্লামেন্ট থেকে সরে যাওয়া উচিত বলে জানান বিক্ষুদ্ধরা।
গত বছরের নভেম্বরে দেশটির নভি সাদে শহরে রেল স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন মারা যান। এরপর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন সার্বিয়ার শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে তা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলে তোপের মুখে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ মার্চ ২০২৫,/রাত ৮:৩০