বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

হাতুড়িপেটায় শিক্ষিকাসহ তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫২ Time View

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে স্কুলে বালু রাখতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মৌসুমী সুলতানা নামে এক সহকারি শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়ে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্বামী ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও ভাসুর হাফিজুর রহমানকেও অনুরূপভাবে হাতুড়ি পেটায় মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

আর এ ঘটনা বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুুল চলাকালিন নৃশংস এ হামলার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করে। পরে স্থানীয়রা আহত শিক্ষিকাসহ তিনজনকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

রামনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল নয়টার দিকে স্থাণীয় ট্রলি চালক হারুন অর রশিদ ও তার লোকজন এক ট্রাক বালু এনে স্কুলের প্রধান ফটকসহ ভেতরে স্তুপ করে রাখে। ফলে স্কুলে যাতায়াত বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বালু সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

এক পর্যায়ে হারুন ও তার লোকজন বালু সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতী ব্যক্ত করেন। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০ টা গড়িয়ে গেরেও বালু না সরিয়ে তাল বাহানা শুরু করে। এ নিয়ে সহকারি শিক্ষক মৌসুমী সুলতানার সাথে হারুনের কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে মৌসুমী সুলতানার স্বামী স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম স্কুলে এসে বালু সরানোর জন্য কড়া তাগিদ দেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন অর রশিদ, আবদুর রহমান ও হারুন তিনজন মিলে ইউপি সদস্য রবিউলের ওপর হামলা চালায়।

এক পর্যায়ে ট্রলির বাক্স থেকে হাতুড়ি নিয়ে রবিউলকে হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেয় তারা। এ সময় মৌসুমী সুলতানা স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সহকারি শিক্ষক আবদুল লতিফ জানান, স্কুল চালাকালিন নৃশংস এ হামলার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আত্কং ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ধেয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

অপরদিকে সকাল ১১ টারদিকে মাঠে যাচ্ছিলেন রবিউলের ভাই কৃষক হাফিজুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে হারুন ও তার লোকজন এ সময় হাফিজুরের ওপর হামলা চালিয়ে হাতুড়িপেটা করে তারও মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে স্থাণীয়রা আহত তিনজনকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ দিকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আফজাল উর রহমান স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করার নির্দেশ দেন। মনিরামপটুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূও মোহাম্মদ গাজী জানান, হামলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ফাতেমা কাতুন বাদি হয়ে তিনজনের বিরুদ্রেধ মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ১০:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit