ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার বয়ানে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মুমিনের সব সময় গুনাহমুক্ত জীবন হবে। গুনাহ থেকে মুক্ত অবস্থায় রমজানে প্রবেশ করতে হবে। এটাই রমজানের ইস্তেকবাল এবং প্রস্তুতি। পানাহার, পোশাক ও লেনদেন সব কিছু হালাল হওয়া রমজানের প্রস্তুতির অংশ।
বায়তুল মোকাররমের খতিব বলেন, অনেকে হারাম থেকে বাঁচার চেষ্টা করেও পারে না, তাদের জন্য আল্লাহর নির্দেশনা হলো, কেউ যদি আল্লাহর ভয়ে চেষ্টা করে আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন, এবং তাকে অভাবনীয় স্থান থেকে রিজিক দান করবেন। মুমিন হিসেবে তার দায়িত্ব হলো হালালের পথে চলার জন্য চেষ্টা করা। এছাড়াও রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে কোরআন তেলাওয়াত করা জামাতের সাথে পূর্ণ খতমের সাথে আদায় করা।
এছাড়াও খতিব তার আলোচনায় রজব মাসের ফজিলত ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। রজব আরবি শব্দ যার অর্থ সম্মানিত। এই মাসকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ চারটি সম্মানিত মাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই সম্মানিত মাসগুলোতে আল্লাহ জুলুম এবং অন্যায় করতে নিষেধ করেছেন।
জুলুম এবং অন্যায় তো সর্বাবস্থায় নিষেধ, তবুও এই সম্মানিত মাসে এর শাস্তি আরো বেড়ে যাবে। তাই সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম রজব মাস আসলেই রমজানের জন্য দোয়া করতেন এবং রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। সম্মানিত চার মাসের মধ্যে রমজানের নাম নেই, কারণ এটি এমনি সম্মানিত।
কিউএনবি/আয়শা/০৪ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৫:৪০