ডেস্ক নিউজ : মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
হাদিসে শীতকাল সম্পর্কে বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
শীতকাল মুমিনের বসন্তকাল। কারণ, এর দিন ছোট হয়, ফলে রোজা রাখা সহজ হয়, আর রাত দীর্ঘ হয়, ফলে ইবাদতের জন্য সময় পাওয়া যায়। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৮৯০৩)
শীতে ইবাদতে সওয়াব অর্জনের সুযোগ রোজা রাখা সহজ। শীতকালে দিনের সময় ছোট হওয়ায় রোজা রাখা তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। বিশেষত নফল রোজা রাখার জন্য এটি একটি বিশেষ সুযোগ। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
রোজা হলো জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ঢাল। (সহিহ বোখারি, হাদিস: ১৮৯৭) শীতের দিনে নফল রোজা পালনকারীরা সহজেই অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন।
রাতের ইবাদত সহজ। শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ার কারণে তাহাজ্জুদ, কুরআন তিলাওয়াত, এবং জিকিরের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তাহাজ্জুদের জন্য রাতের শেষভাগ হলো সর্বোত্তম সময়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৫৮)তাহাজ্জুদ পড়া আত্মিক প্রশান্তি আনার পাশাপাশি আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক বিশেষ মাধ্যম।
শীতের কষ্টে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। শীতকালের তীব্র ঠাণ্ডা সহ্য করা, বিশেষত দরিদ্র মানুষদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যারা এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করেন, তারা সওয়াব লাভ করেন। আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের বিনা হিসাবেই পুরস্কার দেওয়া হবে। (সুরা আয-জুমার, আয়াত: ১০) অন্যদের সাহায্য করতে হবে। শীতকালে দরিদ্র ও অসহায়দের শীতবস্ত্র প্রদান বা তাদের সাহায্য করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজনে সাহায্য করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রয়োজন পূর্ণ করেন। (সহিহ বোখারি, হাদিস: ২৪৪২) হযরত উমর (রা.) বলেছেন, শীতকাল হলো ইবাদতকারীদের জন্য এক দুর্লভ উপহার। (আল-মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ২৬১৩৭) এই উক্তি থেকে বোঝা যায়, শীতের সময়টি ইবাদতের জন্য কতটা উপযোগী এবং তা গ্রহণ করা উচিত।
কিউএনবি/আয়শা/১২ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:২০