বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

অমুসলিমদের জন্য দোয়া করা যাবে?

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : প্রশ্ন: অমুসলিমদের জন্য দোয়া করা কি হারাম? তাদের জন্য কি শুধু শুধু হেদায়েত চাইতে হবে না অন্য দোয়াও করা যাবে? 

১। অমুসলিমরা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে, হেদায়েতপ্রাপ্ত হয় এ ধরনের দোয়া করা।

এ ধরনে দোয়া করা জায়েজ এবং উত্তম। রাসূল (সা.) এ ধরনের দোয়া করেছেন

হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে উমর (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন: ‘হে আল্লাহ্‌! এই দুই জন লোকের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার কাছে অধিক প্রিয় তার মাধ্যমে আপনি ইসলামকে শক্তিশালী করুন: আবু জেহেল কিংবা উমর বিন খাত্তাব।’ (সুনানে তিরমিযি; হাদিস: ৩৬৮১, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন)

২। অমুসলিমদের জন্য গুনাহের ক্ষমা প্রার্থণা করা কিংবা এ-জাতীয় কোন দোয়া করা।

আলেমদের ইজমার ভিত্তিতে এটি হারাম।

ইমাম নববী বলেন: ‘পক্ষান্তরে, কাফেরের জন্য রহমত প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এটি কুরআনের দলিল ও ইজমার ভিত্তিতে হারাম।’ (আল-মাজমু ৫/১২০)

আল্লাহ তাআলা বলেন- নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সংগত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত। (সূরা আত তওবা : ১১৩)

অমুসলিম প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া যাবে না-এমন একটি ধারণা অনেকের রয়েছে। আবার অনেকে মনে করে যে, মানবিক কারণে ‘ঈয়াদাত’ করা গেলেও সুস্থতার জন্য দোয়া করা যাবে না। 

দু’টো ধারণাই ভুল; বরং প্রতিবেশী, আত্মীয় বা পরিচিত কেউ অমুসলিম হলেও অসুস্থ হলে তার ‘ঈয়াদাত’ করা উচিত। সেক্ষেত্রে একজন মুসলমানের তাকে দেখতে যাওয়া, খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সম্ভাব্য সকল সেবা-শুশ্রূষা করা, উপরন’ তাদের সুস্থতা ও হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করাতে অসুবিধার কিছু নেই; বরং পারিপার্শ্বিক অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে এমনটি করাই উত্তম। 

কোনো বিধর্মী আত্মীয় বা প্রতিবেশী অসুস্থ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখতে যেতেন এবং দ্বীনের দওয়াত দিতেন। 

সহিহ বুখারিতে আছে, এক ইহুদী কিশোর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমত করত। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে গেলেন এবং তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। তখন সে মুসলমান হয়ে গেল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৫৬, ৫৬৫৭)

সুতরাং কোনো পরিচিত অমুসলিম ব্যক্তি অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া ও তার সুস্থতার জন্য দোয়া করার অবকাশ আছে। সম্ভব হলে তার সামনে দ্বীনের দাওয়াতও পেশ করা উচিত। হতে পারে আল্লাহ তাআলা তাকে হক কবুল করার তাওফীক দিবেন এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দান করবেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit