আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ১৪ মাস ধরে চলা লেবাননের এই সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবিসিকে যা বলেছেন তা হলো-
# পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ‘পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার’ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
# ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণে এবং হিজবুল্লাহ উত্তরে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে লেবাননের সামরিক বাহিনী ব্লু লাইনের চারপাশের এলাকায় টহল দেবে।
# যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স বিদ্যমান ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় যোগ দেবে। এ ব্যবস্থায় বর্তমানে লেবাননের সামরিক, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউনিফিল) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই এলাকায় চুক্তি কার্যকর করতে সহায়তা করবে।
# যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সম্ভাব্য সব অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।
# লেবাননের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা থাকবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ফরাসি বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং যোগাযোগের মাধ্যমে লেবাননের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করবে।
# যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলো লেবাননের সামরিক বাহিনীকে একটি সামরিক কারিগরি কমিটি বা এমটিসি’র মাধ্যমে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা করবে।
# এ পরিকল্পনাটিতে ‘টেকসই যুদ্ধ বিরতি’ হতে পারে এমন পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় দক্ষিণ লেবাননে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের হামলা এবং হিজবুল্লাহর পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তবে চুক্তি কার্যকরের পর উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে।
লেবাননের সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার এ প্রচেষ্টা কতটুকু সফল হয়, তা আগামী দিনগুলোতে পরিষ্কার হবে।
সূত্র : বিবিসি।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ নভেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:৫২