আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের বিক্ষোভ মিছিলের শান্তিপূর্ণ সমাধান হচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা তা ব্যর্থ হয়েছে। শারীরিক ও প্রযুক্তিগত বাধা এবং পিটিআই নেতা বুশরা বিবির অনমনীয় আচরণে সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করে। সরকার অভিযোগ করেছে, বুশরা বিবি বিকল্প স্থান নির্ধারণের আলোচনাকে নস্যাৎ করেছেন এবং সমর্থকদের সংঘর্ষে উস্কে দিয়েছেন।
ডনের খবর অনুসারে, পিটিআইকে ইসলামাবাদের পরিবর্তে সঙ্গজানি এলাকায় অবস্থান নিতে রাজি করানোর চেষ্টা চলছিল। বারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জানিয়েছেন, অনেক আলোচনার পর ইমরান খান অনিচ্ছাসত্ত্বেও সিটি সীমান্তে থামতে রাজি হন। তবে এর শর্ত ছিল কারাগার থেকে তার মুক্তি এবং অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার।
তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে ইমরান খানের বার্তা কেপি মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গেন্ডাপুরের কাছে যথাসময়ে পৌঁছায়নি। ফলে, বিক্ষোভ মিছিল ইসলামাবাদে ঢুকে পড়ে। এর মধ্যে বুশরা বিবি হঠাৎ ট্রাকে উঠে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতির অবনতি
সরকারের মতে, বুশরা বিবি বিক্ষোভকারীদের ক্ষিপ্ত করেছেন এবং গেন্ডাপুরের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন। তার নেতৃত্বে সমর্থকরা সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ বন্ধ করে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন একটি গাড়ি রেঞ্জার্স বাহিনীর সদস্যদের ধাক্কা দিলে পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়।
এদিকে, ইমরান খানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া বার্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বুশরা বিবির নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে বলা হয়, ‘শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করো।’ এ টুইট নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ ইমরান কারাগারে থাকাকালীন তার টুইটের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকারের মন্ত্রীদের দাবি, পিটিআই পূর্ব নির্ধারিত স্থান সঙ্গজানিতে থামার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি বুশরা বিবিকে দোষারোপ করে বলেন, এক গোপন নেতা পুরো আলোচনার প্রক্রিয়া নষ্ট করেছেন।
এই বিক্ষোভে জীবনহানি ও সম্পদের ক্ষতির জন্য সরকার এবং পিটিআই একে অপরকে দোষারোপ করছে। উভয় পক্ষ এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে দোটানায় রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য পিটিআই বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সংকটের মীমাংসায় ব্যর্থতা ও উভয় পক্ষের কঠোর অবস্থান পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তুলেছে।
কিউএনবি/অনিমা/২৭ নভেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:৪৫