মিজানুর রহমান মিন্টু, জয়পুরহাট : চলতি বছর বাজারে আলুর উচ্চ মুল্য থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে আরো লাভবান হওয়ার আশায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণে আলু চাষে ঝুকছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাটের কৃষকরা। চলতি আমন মৌসুমের কিছু কিছু জমির ধান কাটায় ফাঁকা জমি সহ উচু জমিতে এখন আগাম আলুর বীজ রোপণ করছেন কৃষকরা।
জেলা সদরের পৌর এলাকা, মোহাম্মদাবাদ, পুরানাপৈল, জামালপুর, বম্বু ইউনিয়ন ও পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা, ধরঞ্জী, আয়মারসুলপুর, বালিঘাটা সহ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের ধারকী গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, আগাম আলু চাষ করে যত তাড়াতারি বাজারে আলু উঠাতে পারবো তত লাভ বেশি হবে। তাই আগে ভাগেই আলু আবাদ করছি। এবার বীজের দাম একটু বেশি, তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের তুলনায় এবার লাভ বেশী হবে।
একই ইউনিয়নের হানাইল গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন বলেন, এবার ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু রোপনে খরচ হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মন। বাজারে আগে আলু তুলতে পারলে প্রতি মন আলু বিক্রি হবে প্রায় ৩০ হাজার ৫০০ টাকা টাকা দরে । খরচ রেখে এতে বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করে লাভ পাওয়া যাবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে বর্তমানে আমন ধান কর্তন পুরোদমে শুরু না হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে কৃষি কাজে নিয়োতি থাকা শ্রমিকদের আগাম জাতের আলু চাষের কারনে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি এ কাজে নারী শ্রমিকেরাও অংশ গ্রহন করছে। আলুর জমিতে কাজ করা শ্রমিক হেলাল মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বেকার বসে থেকে দিন কাটছিল। তবে আগাম আলু চাষ শুরু হওয়ায় বর্তমানে প্রতিদিনই কাজ পাচ্ছি। তারফলে বর্তমানে দিনপথ ভালোই কাটছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, আগাম আলু একটা লাভ জনক ফসল । আলুর বাজার ভালো থাকায় এবার তুলনা মুলক জেলায় আলু উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর চলতি মৌসুমে আলু ঊৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ৯ লক্ষ ২০ হাজার মেঃটন।
কিউএনবি/অনিমা/০৬ নভেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:০৪