আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চো সান এমন সময় রাশিয়া সফরে গেলেন, যখন দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ন্যাটো যৌথভাবে নিশ্চিত করেছে যে রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা বলেছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে পিয়ংইয়ং।
একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, চো সান সুদূর পূর্ব রাশিয়ার শহর ভ্লাদিভোস্টক এ অবতরণ করেছেন। তিনি আগামীকাল মস্কোতে থাকবেন। রাশিয়ান বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, চো সান রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে তিনি কার সঙ্গে বৈঠক করবেন তা জানানো হয়নি।
চো সান এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সফর করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ে রুশ দূতাবাস বলেছে, জুন মাসের বৈঠকে দুদেশের নেতারা ‘কৌশলগত সংলাপ’-এ বসতে সম্মত হওয়ার পর রাশিয়া সফরে এলেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন বলেছে, উত্তর কোরিয়া প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে। উত্তর কোরিয়া যদি এ যুদ্ধে অংশ নেয়, তবে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নতুন করে কোনো সীমা আরোপ করবে না ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে গভীর সামরিক সম্পর্ক ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:১৯