আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের সবশেষ বিমান হামলা হয়েছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকারী ইউনিটে। ইরানে এই ইসরাইলি বিমান হামলার সঙ্গে ১৯৮১ সালের জুন মাসে চালানো ইরাকের ওপর হামলার মিল রয়েছে। যাকে নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন অপেরা’। এনডিটিভি এ বিষয়ে আগেই অনুমান করেছিল। গত বছর তারা রিপোর্ট করেছিল যে, ইসরাইল ইরানকে কোণঠাসা অবস্থায় পেলে একই ধরনের হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না।
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের দিক থেকে এ দুটি হামলার অনেকটাই মিল রয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের তথ্যমতে, শনিবারের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি স্টিলথ ফাইটার জেট এফ-৩৫সহ ১০০টির বেশি বিমান অংশ নেয়। এই বিমানগুলো প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়।
প্রথম ধাপে ইসরাইলি বিমান ইরানের রাডার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে আকাশপথ নিরাপদ করে, এরপর সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। ১৯৮১ সালের ৭ জুন ‘অপারেশন অপেরা’ নামে ইসরাইলের ১৪টি যুদ্ধবিমান ইরাকের ওসিরাক পরমাণু চুল্লিতে হামলা চালায়। আনুমানিক সাড়ে ৫ টায়, তারা ইরাকের ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লিতে আঘাত করে। ফলে সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ইসরাইলি কোনো বিমানের ক্ষতি ছাড়াই, মিশন সফল হয়।
সেই হামলায় ইসরাইল এফ-১৬এ বিমান ব্যবহার করেছিল। এই বিমানগুলোকে এসকর্ট দিয়েছে এফ-১৫ বিমান। সে সময় ইসরাইলকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মুখে পড়তে হয়েছিল। জেটগুলোর বাহ্যিক ট্যাঙ্কে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানী বহন করা হয়েছিল এবং বেশি দূরত্বের কারণে সেগুলো কম উড়েছিল। তবে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এফ-১৫ এবং এফ-১৬ বিমানের আধুনিক সংস্করণ হয়েছে যা এবারের হামলার সময় সেইসব সমস্যায় পড়তে হয়নি ইসরাইলকে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:০০