আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেখা যায় হাসপাতাল চত্বরে খোলা আকাশের নিচেই রাখা হয়েছে কয়েকজন রোগীকে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই রোগীদের প্রত্যেককেই ভেতরে নিয়ে যাওয়া হবে। ফিরিয়ে আনা হবে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা রোগীদেরও।
এর মধ্যে শিয়ালদহ ইএসআই-তে চিকিৎসাধীন এক ক্যানসার রোগী শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের দাবি, আগুন লাগার পরে কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই রোগী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মৃত্যু হয় তার।
তবে, শ্বাসকষ্টের জেরে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এমনটা মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১০টি ইউনিট। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
আগুন লাগার খরব পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে পৌঁছায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশও। আগুনের সম্ভাব্য উৎসস্থল মেল সার্জারি ওয়ার্ডের আশপাশ থেকে তো বটেই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তিনতলা থেকেও রোগীদের নামিয়ে আনা হয়। দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘পুজার কারণে অনেক রোগীই বাড়ি ফিরেছিলেন। বড় ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি এড়ানো গেছে। দমকলকর্মীরা সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন।’
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে (এসি) শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
সূত্র: আনন্দবাজার
কিউএনবি/আয়শা/১৮ অক্টোবর ২০২৪,/দুপুর ১:১৯