সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন

স্ত্রীর প্রতি সহনশীল হতে ইসলাম যে নির্দেশনা দেয়

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : মুফতি আবদুল্লাহ তামিম

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে বলেছে। কারণ অভদ্র হওয়া সত্ত্বেও সে তো স্বামীর খিদমত, রান্না-বান্না, সংসার পরিচালনা ও সন্তানাদি লালন-পালনসহ প্রতিনিয়ত অসংখ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। অতএব কদাচিৎ তার পক্ষ থেকে কিছুটা কষ্ট পেলে তা সয়ে যাওয়াই স্বামীর কর্তব্য। এক্ষেত্রে লোকমান হাকীমের একটি ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া যেতে পারে।
প্রসিদ্ধ আছে যে, লোকমান হাকিম একজন কৃতদাস ছিলেন। একবার তার মুনিব তাকে ভালোবেসে তার জন্য বড় একটি লাল বাঙ্গি নিজ হাতে কাটলেন। তারপর বাঙ্গির টুকরোগুলো তার মুখে তুলে দিচ্ছিলেন। লোকমান হাকিম আনন্দচিত্তে খেয়ে চলছিলেন। 
মুনিব শেষ টুকরোটি হাতে নিয়ে বললেন, সবগুলো তোমাকে খাওয়ালাম; এটি আমি খাই। তিনি টুকরোটি মুখে নিয়ে সাথে সাথে ফেলে দিলেন। বললেন, বাঙ্গিটি দেখতে এত ভালো অথচ ভেতরে এমন তিতা! তুমি খেলে কীভাবে? লোকমান হাকিম উত্তর দিলেন, আপনার এই হাত থেকে জীবনে কত নেয়ামত লাভ করেছি তার ইয়ত্তা নেই। আজ না হয় একটু কষ্টই পেয়েছি, তাই বলে তা ফিরিয়ে দেই কীভাবে?
এই ছিল বুযুর্গ ব্যক্তির কৃতজ্ঞতা। ঠিক স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও একই কথা। তাদের থেকে প্রাপ্ত কষ্টের দিকে না তাকিয়ে তাদের দ্বারা অর্জিত সুখের প্রতি লক্ষ্য করা উচিত। তবেই কষ্ট ফুরিয়ে যাবে।
স্ত্রী সুন্দরী নয় বা অপছন্দনীয় হলেকারো স্ত্রী অসুন্দর, বেঁটে বা অপছন্দনীয় হলে এসব কারণে যদি পরনারীর প্রতি মন আকৃষ্ট হয় তাহলে ভাবা উচিত যে, আমার পাপের কারণে হয়ত আল্লাহ তাআলা আমার জন্য এই স্ত্রী বরাদ্দ করেছেন। আর সে তার নেক আমলের কারণে আমার মত সুদর্শন স্বামী পেয়েছে।

তাহলে আমি হলাম তার নেক আমলের প্রতিদান আর সে হল আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত। তাছাড়া সুন্দর-অসুন্দর ইত্যাদি দোষ-গুণ আল্লাহ তাআলার দান। তাতে স্ত্রীর কোনো ক্ষমতা নেই। আল্লাহ যদি তার স্থানে আমাকে সৃষ্টি করতেন তখন আমারই বা কি করার ছিল! বা এখনো যদি আমার সৌন্দর্য কেড়ে নেন, বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু করে দেন তাহলে আমার কি করার থাকবে? তাই এখানেও ধৈর্য ধারণ করা জরুরি। পরস্ত্রীর প্রতি মন আকৃষ্ট হলে ইসলামের নির্দেশ হলো নিজ স্ত্রী নিয়ে মশগুল হয়ে যাওয়া। কারণ হিসেবে হাদিসে বলা হয়েছে,

فإن معها مثل الذي معها অর্থ: উক্ত নারীর সাথে যা আছে নিজ স্ত্রীর মাঝেও তাই আছে। অতএব পেরেশান হওয়ার কিছু নেই। (সুনানে দারেমি ২৩৮৮)

 

মনে রাখতে হবে, একটি মেয়ে তার বাবা-মা, ভাই-বোন সকলকে ছেড়ে স্বামীর ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। এখন স্বামীই তার একমাত্র আপন। সে স্বামীই যদি তার দুঃখ-যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তার জীবনে সুখ পাওয়ার আশা আর কার কাছ থেকে করবে!

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit