ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারি সিটি বন্ধন পরিবহন কোম্পানির বাস মালিকরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে তারা বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বাস মালিকদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকও জড়িত আছেন। তাদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব উল্লাহ তপন ও তার বাহিনীর লোকজন পরিবহন সেক্টর নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে তপন বাহিনীর শতাধিক লোক লাঠিসোটা, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিটি বন্ধন পরিবহনের কার্যালয় দখল করতে আসে। এ সময় বাস মালিকরা বাধা দিলে কার্যালয়টি ভাঙচুর করেন তারা।
খবর পেয়ে সিটি বন্ধন পরিবহনের পক্ষ হয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কারাবন্দি জাকির খান বাহিনীর সশস্ত্র লোকজন ঘটনাস্থলে এলে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। পরে আটকদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিটি বন্ধন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘তপন বাহিনী আমাদের অফিস দখলের চেষ্টা চালালে আমরা বাস মালিক শ্রমিকরা তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। এ সময় তপনের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাদের অফিস ভাঙচুর করে। তারা আমাদের মালিক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছে। আমরা কাউকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করবো না। আমরা প্রশাসনের কাছে এ হামলার ন্যায়বিচার চাই।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ওসি নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে কেউ পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’