আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইনে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এরই মধ্যে রাখাইনের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। হারানো এলাকা পুনরুদ্ধারে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী।
নারিনজারার প্রতিবেদন মতে, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের দখলে থাকা মংডু শহরের ৪ মাইল দূরে অবস্থিত নাখাখা- নামে বর্ডার গার্ড পুলিশের একটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় জান্তা বাহিনী।
দুটি জেটবিমান দিয়ে চালানো ওই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিক বন্দি রয়েছে। এক বিবৃতিতে এই বিমান হামলা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মি আরও বলেছে, নিহতদের মধ্যে মংডুর যুদ্ধের সময় আটক বেশ কয়েকজন যুদ্ধবন্দি রয়েছে। এছাড়া আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি ও আরএসও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ও মিয়ানমার ফ্যাসিবাদী সামরিক জান্তার প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের সহযোগী রয়েছে।
আরাকান আর্মির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। জান্তার দুটি জেটবিমান বিমান হামলা চালালে নাখাখা-২ ব্যাটালিয়নের পেছনের ছাত্রাবাসে বিস্ফোরণ ঘটে।
একজন সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, ‘তারা (জান্তা বাহিনী) বিমান হামলায় তাদের নিজেদের লোকদের হত্যা করেছে। তারা নাখাখা-২ ব্যাটালিয়নের পেছনে চারটি বোমা ফেলেছে এবং বেশ কয়েকটি ছাত্রাবাস ধ্বংস করেছে।
এর আগের দিন রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাখাইন রাজ্যের পকতু টাউনশিপে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। তাতে যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিকসহ ২০ জন নিহত এবং আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন।
কিউএনবি/আয়শা/১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১১:১৯