আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের কারণে পশ্চিম তীরেও গাজার মতো বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে গুরুতরভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা।
আলবানিজি বলেন, ইসরাইলের গণহত্যামূলক সহিংসতা গাজা থেকে বেরিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা ইসরাইলের একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। তিনি বলেন, দখলদার ও যুদ্ধবাজ ইসরাইল একই সঙ্গে গাজা এবং পশ্চিম তীরকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। যা একটি সামগ্রিক নির্মূলকরণ, প্রতিস্থাপন এবং আঞ্চলিক সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ারই অংশ।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করে আলবানিজি বলেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলকে দীর্ঘদিন ধরে যে ছাড় দিয়ে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনিমুক্ত করণে সক্ষম করছে।
এর ফলে ফিলিস্তিনিরা ক্রমশ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা এখন এমন এক শক্তির করুণার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, যারা কিনা তাদেরকেই একটি জাতীয় গোষ্ঠী হিসেবে নির্মূল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে’।
জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা কথাগুলো এমন সময়ে বললেন, যখন গাজা এবং পশ্চিম তীর উভয় স্থানেই ইসরাইলি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
একই সময়ে ইসরাইলি সামরিক অভিযান পশ্চিম তীরেও শত শত ফিলিস্তিনির মৃত্যু এবং আহতের কারণ হয়েছে। যা সংঘাতের ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহারকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এর আগে আগস্টে আলবানিজি ঘোষণা করেছিলেন যে, ইসরাইলের অপরাধগুলো বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি নেতানিয়হুর সরকারকে শাস্তি দেওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের নীতিগুলোর বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করে বলেন, ইসরাইলের পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাবে।
গাজার পর এখন অধিকৃত পশ্চিম তীরেও পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়ে গেছে। যেখানে আশঙ্কা রয়েছে যে গাজায় দেখা যাওয়া সহিংসতা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অন্যান্য অংশেও প্রতিফলিত হতে পারে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বশেষ সতর্কবার্তার পরও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন ফিলিস্তিনি জনগণের ভবিষ্যৎ এবং এ অঞ্চলে শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে জরুরি প্রশ্ন তুলেছে। সূত্র: ইরনা
কিউএনবি/আয়শা/০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ৯:৫০