ডেস্ক নিউজ : উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩১ তম সুলতান আহমেদ আবদুল মজিদ। তিনি একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে মসজিদে নববীকে আলোকিত করবেন। বিদ্যুৎ স্থাপন করবেন। তার স্থাপন করা এ বাতিগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী শুধু তেলের বাতি এবং প্রাকৃতিক সূর্যের আলো দ্বারা আলোকিত করেছিলো মসজিদে নববীকে।
এর আগে মসজিদে নববীতে তেলকুপি ব্যবহার করা হতো। মসজিদে নববীতে প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্ব স্থাপিত হয় ১৩২৫ হিজরি সালের ২৫ শাবান। এরপর ১৩৭০ থেকে ১৩৭৫ সালের মধ্যে বাদশাহ আবদুল আজিজের শাসনামলে পবিত্র মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ কাজ সম্পাদন করা হয়।
তার সময়েই মদিনা শরিফের এ পবিত্র মসজিদে ব্যাপকভাবে আলোক সজ্জাসহ প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্যে সেখানে একটি বিশেষ পাওয়ার স্টেশন স্থাপন করা হয়। তখন পুরো মসজিদ কম্পাউন্ডে মোট বৈদ্যুতিক বাতির সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৪২৭টি।
সুলতান আব্দুল মজিদের শাসনামলে বিশ্ব দ্রুত আধুনিক যুগে অগ্রসর হচ্ছিল। ১৮৩৯ সালে ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, ১৯৭৬ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের সময় সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন সুলতান আব্দুল মজিদ।
তিনি তোপকাপি প্রাসাদে বড় হয়েছেন। ইসলামি শিক্ষা ও আধুনিক বিজ্ঞান উভয় শিক্ষার সমন্বয়ে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। ১৯ শতকের শেষের দিকে বিদ্যুতের প্রবর্তন একটি দুর্দান্ত বিষয় ছিলো। মসজিদে নববীতে এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হয় এ বিদ্যুতের বাল্ব সংযোজন করায়।
মসজিদুন নববীতে সুলতান আব্দুল মজিদ কর্তৃক স্থাপিত প্রথম বাল্বগুলির মধ্যে একটি যা তার উত্তরাধিকারের প্রতীক হয়ে উঠেছে। একটি বাল্ব ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে। যখন স্থাপন করা হয়েছিলো, তখন থেকে এ বাল্বটি জ্বলছে। আর স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে উসমানী খিলাফতের ইতিহাস।
মসজিদের মধ্যে অবস্থিত এই বাল্বটি আজও কোনো ধরণের ত্রুটি ছাড়া আলো দেয়। এটি একটি অসাধারণ কৃতিত্ব, যা ১২০ বছর আগের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে।
সুলতান আব্দুল মজিদ ১৯০৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু তার উত্তরাধিকার টিকে আছে এখনো। বিশেষ করে মসজিদুন নববীতে ১২০ বছরের পুরনো বাল্বের উজ্জ্বল আলোতে মনে পড়ে সেই ইতিহাসের কথা। মনে পড়ে সেই মুসলিম ঐতিহ্যের কথা। সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন
কিউএনবি/আয়শা/০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:২২