বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী টনকী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ব্রিজের নিচে দীর্ঘদিন যাবত জমে থাকা কচুরিপানা দ্বারা ভরাট হওয়া ব্রিজের নিচের অংশটি গ্রামবাসীর উদ্যোগে পরিষ্কার করা হয়েছে। গত শুক্র,শনি, রবি ও সোমবার ১৩জন লোক ৪দিন যাবৎ কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্রিজের নিচে আটকে যাওয়া কচুরিপানা গুলো পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়।
টনকী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামাল ভূঁইয়া ও টনকী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক ভূঁইয়া, প্রভাষক মোঃ আশ্রাফুল আলম ভূইয়া শামীমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাজটিতে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন, সিঙ্গাপুর আলিফ ইঞ্জিনিয়ারিং পি.টি.ই লিমিটেড এর ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এ.আর.খান রবিন, জে.,কে শিপিং সিএন্ডএফ এর স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মোঃ কাইয়ুম ভুইয়া, কর্মমঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, ব্যাবসায়ী মোঃ নজির ভুইয়া এবং ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল বাসার ভুইয়া প্রমুখ।
এই কাজটি করার কারণে বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল ও কৃষি জমি। সঠিক সময়ে ব্রিজের নিচে জমে থাকা কচুরিপানা পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করায় আশেপাশের গ্রামের কৃষি ও মৎস্যজীবী লোকজন অনেক খুশি হয়েছে। জানা গেছে বড় টনকী মসজিদ সংলগ্ন এই ব্রিজের নিচ দিয়ে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের বৃষ্টি ও অন্যান্য পানি এখান দিয়ে প্রবাহিত হয়। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় কচুরিপানা জমে পুরো ব্রিজ এলাকা পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল।
গ্রামের যেসকল সুহৃদয়বান ব্যক্তিগণের উদ্যোগে ও তত্ত্বাবধানে এবং আর্থিক সহায়তায় কাজটি সম্পন্ন হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। তাদের মতে কচুরিপানাগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। যার ফলে বোরো ধান চাষের সময় অতিবৃষ্টিতেও জমি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। এই কাজটি শেষ করতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানান কাজ পরিচালনাকারী উদ্যোক্তারা।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ওয়ার্ড মেম্বার, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৩৮