ডেস্ক নিউজ : ধন-সম্পদ মহান আল্লাহর নিয়ামত। মানুষের উচিত সেই নিয়ামতের শোকর করা এবং তা মহান আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতিতে পরিচালনা করা। আল্লাহর ঠিক করা নিয়মের বাইরে গিয়ে ধন-সম্পদ থেকে উপকৃত হওয়া যায় না। যেমন অনেকেই আছে ধন-সম্পদ ধরে রাখার জন্য কৃপণতা করে।
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তাদেরকে দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, তারা যেন মনে না করে যে তা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তা তাদের জন্য (খুবই) অকল্যাণকর, তারা যাতে কৃপণতা করেছে, সত্বর কিয়ামতের দিন তারই বেড়ি তাদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে। আসমান ও জমিনের স্বত্বাধিকার কেবল আল্লাহরই। তোমরা যা কিছুই করছ আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮০)
আবু হুরায়রা বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু সে এর জাকাত আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন তার সম্পদকে টেকো (বিষের তীব্রতার কারণে) মাথাবিশিষ্ট বিষধর সাপের আকৃতি দান করে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুই পার্শ্ব কামড়ে ধরে বলবে, ‘আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার জমাকৃত অর্থ।’ অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সা.) সুরা আলে ইমরানের ১৮০ নম্বর আয়াতটি তিলাওয়াত করেন। (বুখারি, হাদিস : ১৪০৩)
তাই আমাদের উচিত খরচে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। এত কম খরচ না করা যে তা কৃপণতার পর্যায়ে চলে যায়, আবার এত বেশি খরচ না করা যে তা অপব্যয়ের পর্যায়ে চলে যায়। এটাই মহান আল্লাহর আদেশ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তুমি তোমার হাত তোমার ঘাড়ে আবদ্ধ রেখো না এবং তা পুরোপুরি প্রসারিত কোরো না, তাহলে তুমি নিন্দিত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)
মহান আল্লাহ সবাইকে কোরআনের নির্দেশনাগুলো অনুযায়ী জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ অগাস্ট ২০২৪,/বিকাল ৪:২৫