শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : এ বছর ডাক না হওয়ায দক্ষিন বঙ্গের সর্ববৃহৎ যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশুহাটটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কারনে বিপাকে পড়েছে গরুর খামারী ও ব্যবসায়ীরা। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে দেয়। ২০ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে কন্ধ হাটটি দখলে নিতে বাগআঁচড়া এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র পশু হাটে জড়ো হয় । এখন জমজমাট হাটটির চেহারা ফাঁকা মাঠে পরিনত হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, দক্ষিন বঙ্গের সর্ববৃহৎ সাতমাইল পশুহাট। এ হাটে প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে। প্রতি হাটে বেচা কেনা হয় প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি পশু। যে কারনে হতাসায় পড়েছে গরু খামারীরা ও গরু ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি টাকা এই হাটের ডাক হয়। রাজনৈতিক কারনে এ বছর হাটটি ডাক হয়নি।যে কারনে উপজেলা প্রশাসন হাটের খাজনা আদায় করে আসছিলো। আওয়ামীলীগ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাটটি বন্ধ হয়।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ষড়যন্ত্র কওে শার্শার স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বাগআঁচড়া ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও মোস্তফা হাসান ফিরোজ টিংকু মিলে প্রশাসনকে ভয় প্রদর্শন করে ম্যানেরজ করে পশুি হাটথেকে খাজনা আদায় করত। গরু প্রতি ১শত ৫০ টাকা আদায়ের কথা থাকলেও তা নামেনে গরু প্রতি আদায় করা হতো ১২শথেকে ২ হাজার টাকা। আদায় কৃত টাকার একটি অংশ সরকারী খাতে জমা দিয়ে সিংহ ভাগ টাকা এমপিসহ ২চেয়ারম্যান পকেটস্থ করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
গুত্রে আরও জানাগেছে, হাটটি এ বছর ডাক না হওয়ায় শার্শা উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় বর্তমারচেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, ইউনিয়ন ভুমি সহকারীসহ ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ খাজনা আদায় কমিটি করে দেন। এরপর সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বাগআঁচড়া ও কায়বা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও মোস্তফা হাসান ফিরোজ টিংকু বল ও ভয় প্রদর্শন করে ঐ কমিটিকে কোন দিন খাজনা আদায় করতে হাটে নামতে দেয়নি।
এ ব্যাপাওে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন জনবল না থাকায় ও হাটের পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়ায় হাটটি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন এই অবস্থায় হাটটি অবৈধ্য ভাবে দখল নিয়ে এলাকার একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। যে কারনে এই অবস্থায় হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ।
কিউএনবি/আয়শা/২০ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৩৮