বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস পদোন্নতি পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব স্বাক্ষরিত মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত এক পত্রে যে ১১৭ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতির কথা উল্লেখ করা হয় এর মধ্যে আ. কুদদূসের নাম করা হয়েছে।
পদোন্নতি পাওয়া ওই ১১৭ জনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আ. কুদদূসের এ পদোন্নতি ২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। আ. কুদদূস সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও মন্ত্রণালয়ে থাকা একাধিক অভিযোগের মুখেই পদোন্নতি হলো নানা কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিতর্কিত হয়ে পড়া সিইও মো. আ. কুদদূসের। অবশ্য পদোন্নতির শর্তে উল্লেখ করা আছে, পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো রকম বিরূপ/ ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন/ বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক মিয়া দুদক চেয়ারম্যান বরাবর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আ. কুদদূসসহ দু’জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে মোট ২০টি অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে পুরাতন ভ্যেকু রং করে নতুন হিসেবে ক্রয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে পৌরসভা থেকে চালকের টাকা নেওয়া, পৌর পরিষদের ভ্রমণের নামে টাকা আত্মসাত, টেন্ডারের মাধ্যমে মশার ওষুধ না ক্রয় করে নিজে আওতায় আনা, অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অপরিকল্পিতভাবে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘড়ি স্থাপন ইত্যাদি রয়েছে।
আ. কুদদূস সম্প্রতি আলোচনায় আসেন ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই ঘড়ি স্থাপন করে। সাধারণ এই ঘড়িটির দাম চার-পাঁচ লাখ টাকা হতে পারে বলে ধারণা পাওয়া যায়। ঘড়ি কেনার কাজটি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে না দিয়ে একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে কিনেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওনাকে না বলে বদলি হয়ে আসায় এক কর্মকর্তাকে যোগদান করতে না দিয়েও তিনি আলোচনায় আসেন। এ ঘটনায় অবশ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে কারণ দর্শাতে বলেন। মধ্যপাড়ার পুকুরপাড়ের সৌন্দর্য্যবর্ধনের নামে দরপত্র ছাড়া কাজ করেও তিনি সমালোচিত হন।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৮:১৮