ডেস্ক নিউজ : চির-শান্তির স্থান হলো জান্নাত। এর ঘর-বাড়ি, আসন, আসবাবপত্র সবকিছু স্বর্ণ-রৌপ্য, মণি-মুক্তি, দ্বারা নির্মিত। আরও থাকবে রেশমের গালিচা, দুধ ও মধুর নহর ও মিষ্টি পানির স্রোতধারা। আনন্দ উপভোগের সব বস্তু থাকবে জান্নাতে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতে তোমাদের মন যা চাইবে তা-ই তোমাদের জন্য রয়েছে আর তোমরা যা দাবি করবে তাও তোমাদের দেয়া হবে।’ (সুরা হামিম সেজদা: ৩১)
জান্নাত লাভ করা প্রতিটি মুমিনের একান্ত চাওয়া। তবে এ জন্য মানতে হবে কোরআন-সুন্নাহর বিধান। এ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে প্রবহমান থাকবে নহর। আর যে ব্যক্তি তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তাকে দেবেন যন্ত্রণাময় শাস্তি।’ (সুরা ফাতাহ: ১৭)
কোরআন-সুন্নাহতে জান্নাত লাভের ছোট-বড় অনেক আমল রয়েছে। এখানে জান্নাতে যাওয়ার সহজ পাঁচটি আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো —
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াবিখ্যাত সাহাবি হজরত উবাদা ইবনে সামিত (রা.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এই নামাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলাবশত তাতে কোনো ত্রুটি করবে না, তার সঙ্গে মহান আল্লাহর চুক্তি হয়েছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু দাউদ)
আয়াতুল কুরসি পাঠ করাহজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার পথে তার কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতে যাবে। (নাসায়ি)
দুই জিনিসের হেফাজত করাহজরত সাহল ইবনু সাদ (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই রানের মাঝখানের বস্তুর (লজ্জাস্থান) জামানত আমাকে দেবে, আমি তার জান্নাতের জিম্মাদার। (বুখারি)
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়াশেষ রাতে সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন আরামের বিছানা ছেড়ে মহান আল্লাহর দরবারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার নামই তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ নামাজ জান্নাতে নিয়ে যাবে আমাদের। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হে লোকসকল, সালামের প্রসার করো। খাবার খাওয়াও। রাতে যখন সবাই ঘুমে বিভোর তখন নামাজ পড়ো। শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করো।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৯৭)
এতিমের তত্ত্বাবধান
এতিমের তত্ত্বাবধান জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল। হজরত সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের তর্জনী ও মধ্যমা একত্র করে বলেন, ‘আমি ও এতিমের তত্ত্বাবধায়ক জান্নাতে এভাবেই থাকব।’ (বুখারি: ৬০০৫)
কিউএনবি/আয়শা/০১ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:৫৪