ডেস্ক নিউজ : নামাজে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা ফরজ, আর সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনের যেকোনো স্থান থেকে তেলাওয়াত করলে ফরজ আদায় হয়ে যাবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত নামাজে কীভাবে এবং কোন কোন সুরা পড়তেন তা তুলে ধরা হলো —
এক. সফর অবস্থায় সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে পড়া যাবে। কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। দুই. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। তিন. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।
চার. মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। সুন্নত ও অন্য নামাজের কিরাত: ফরজ নামাজ ছাড়া সুন্নতসহ অন্য নামাজে কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত:
পাঁচ. নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
ছয়. নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
সাত. নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রায়ই সুরা আস-সাজদা ও সুরা দাহর পড়তেন।
আট. জুমার নামাজে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই সুরা আলা ও সুরা গাশিয়াহ অথবা সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পড়তেন।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ কিরাত পড়তেন। ফজর নামাজে অন্য নামাজের চেয়ে দীর্ঘ কিরাত পড়তেন। ইসলামি শরিয়তে, নিজের পক্ষ থেকে কোনো নামাজের জন্য কোনো সুরা নির্দিষ্ট করে নেয়া শরিয়ত-পরিপন্থী।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জুলাই ২০২৪,/দুপুর ১২:৫০