আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৪ বছর আগের করা এক মন্তব্যের জেরে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-র অধীনে মামলা শুরু করার অনুমতি পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। এবার কি সত্যিই জেলে যেতে হবে বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকাকে?
খ্যাতনামা এই লেখিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সভায় উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতেই দিল্লি পুলিশ তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত করছে। যথাসময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় কয়েকটি মামলা স্থগিত হয়ে যায়। সেসব মামলাই নতুন করে শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।
২০১৬-২০২০ সময়কালে চব্বিশ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির ওপরে ইউএপিএ আরোপ হয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ২১২ জন অপরাধী প্রমাণ হলেও, ৯৭ শতাংশই এখনো জেলবন্দি। কারণ, এই মামলায় জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
তবে প্রশ্ন উঠেছে যে- অরুন্ধতীর ওই মন্তব্যের ফলে কী কাশ্মীরে অস্থিরতার নিদর্শন মিলেছে? তার বক্তব্যের সঙ্গে কী বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কোনো সংযোগ মিলেছে? এমন কোনো প্রমাণ আদালতে কখনও পেশ করা হয়নি, জনসমক্ষেও আসেনি। বরং এ বছরের সাধারণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে কাশ্মীরে।
এর মধ্যে কি এমন নতুন সাক্ষ্যপ্রমাণ খুঁজে পেল পুলিশ, যার ভিত্তিতে ১৪ বছর আগের একটি মন্তব্যের জন্য ইউএপিএ-র মতো কঠোর ধারা আরোপ করার দরকার পড়ল? এসব বিষয়ে কিছুই প্রকাশ করেনি দিল্লি পুলিশ। ফলে যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে, তা হলো- এই ধারার প্রয়োগ কী ন্যায়বিচারের প্রয়োজনে, নাকি নিছক রাজনৈতিক?
কিউএনবি/আয়শা/১৮ জুন ২০২৪,/বিকাল ৪:৫০