স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : সরকারি বরাদ্দের কাঙ্খিত ভাগ না পাবার অভিযোগে যশোরের মনিরামপুরে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নেঙ্গুড়াহাট বাজার থেকে জামায়াতের কয়েক’শ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ সরদার ও সচিবের কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় অবশ্য চেয়ারম্যান ও সচিব পরিষদে উপস্থিত ছিলেননা। তবে ইউপি ভবন বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ সরদার সরকারি বরাদ্দের অধিকাংশ তিনি তার দলিয় আস্থাভাজন ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করেন।
চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিল্লাল হোসেন জানান, গত বছর আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারি বরাদ্দ বন্টনের জন্য (ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব, ওএমএস,টিআর, কাবিখা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালিন ভাতা, বয়ষ্কভাতা) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্নার মধ্যস্থতায় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ সরদার ও ইউনিয়ন জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমঝোতা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার জানান, সে মোতাবেক সকল বরাদ্দের শতকরা ২৫ ভাগ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান, সহকারি সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকারি সকল বরাদ্দের ২৫ ভাগ দেওয়ার সমঝোতা হলেও চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার না দিয়ে তিনি তার দলিয় আস্থাভাজনদের মাঝে বিতরণ করেন। এর প্রতিবাদে গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নেঙ্গুড়াহাট বাজার থেকে জামায়াতের অন্তত: কয়েক’শ নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে গিয়ে পরিষদের সকল কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদ সরদার এবং ইউপি সচিব বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেননা। তবে অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ সময় দায়িত্বরত তিন গ্রাম পুলিশ আব্দুল আলিম, বদরুজ্জামান বেবি, কোমল দাস ও উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামানকে পরিষদ থেকে বের করে দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার জানান, পরিষদে তালা মারার বিষয়টি ইউপি সচিবের মাধ্যমে ইউএনকে অবহিত করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কিউএনবি/অনিমা/০২ জুন ২০২৫, /দুপুর ১২:২৬