রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

দর্জি শ্রমিকদের ধর্মঘট, ঈদের পোশাক তৈরি বন্ধ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪
  • ৮৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : শেরপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জেলা শহরের টেইলার্সে কর্মরত দর্জি শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দর্জি শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর ফলে জেলা শহরে ঈদের পোশাক তৈরির অর্ধশতাধিক কারখানায় কার্যক্রম বন্ধ।

অপরদিকে ঈদের সময় শার্ট, প্যান্ট, পায়জামা ও পাঞ্জাবির কাপড়ের দোকানগুলোতে বেচাকেনা অনেক কমে গেছে। ফলে গজ কাপড় বিক্রির দোকানগুলোতে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশার মধ্যে পড়েছেন। চলতি জুন মাসের ৮ তারিখ থেকে কাজ বন্ধ করে দিলেও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগী হচ্ছে না কেউ।

দর্জি শ্রমিকরা জানান, তারা কাজ করেন মালিকের দোকানে। কাজের বিনিময়ে মালিকরা তাদের মজুরি দিয়ে থাকেন। তারা যে মজুরি দেন তাতে তাদের পোষায় না। গত ১৫ দিন আগে থেকে মৌখিকভাবে মালিকপক্ষকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে কোনো কাজ না হওয়ায় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জেলা দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবি জানিয়ে আসলেও মালিকরা এতে কর্ণপাত করেননি। মালিকরা একটা শার্টের মজুরি নেয় ৪০০ টাকা আর আমাদের দেয় মাত্র ১২১ টাকা। এই অল্প টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। আমাদের বেশি দাবি নয়। মাত্র ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি করলেই আমরা কাজে ফিরব।

কয়েকজন নারী গ্রাহক জানান, প্রতি বছরই কাপড় কিনে ঈদের আগে নকশা অনুযায়ী পোশাক বানিয়ে নেন তারা। এ জন্য শহরের লেডিস টেইলার্সগুলোই ভরসা। তবে এবার দর্জিরা ধর্মঘটে থাকায় কোনো টেইলার্স কাপড়ের অর্ডার নিচ্ছে না। ফলে কাপড় কেনা হলেও তা দিয়ে ঈদের নতুন পোশাক তৈরি করতে পারছেন না। আবার যারা ইতোমধ্যে কাপড় বানানোর জন্য দর্জি দোকানে কাপড় দিয়েছেন শ্রমিকদের এই কর্মবিরতির কারণে তাদের অনেকেই কাপড় ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।  

মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আবুল হোসেন, প্রতি বছর নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়ে ঈদের নামাজ পড়ি। এবারও প্রস্তুতি নিয়ে পায়জামা-পাঞ্জাবির কাপড় কিনলাম। কিন্তু কাপড় তৈরি করতে পারছি না। ঈদে নতুন জামা পরতে পারব কিনা তা নিয়ে আমি সন্ধিহান।

এ বিষয়ে শেরপুর দর্জি মালিক বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নেপাল চন্দ্র সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোছা আলম সরকার জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘট সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। গত ৯ মার্চ শ্রমিকদের দাবি দাওয়া মেনে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। সেই সময় মালিক ও শ্রমিকপক্ষের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে আগামী ২০২৬ সালের আগে আর মজুরি বৃদ্ধি হবে না বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে তারা আবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ঈদে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এভাবে বারবার মজুরি বৃদ্ধি করলে আমাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি আসাদুজ্জামান রওশন বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করব।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৪ জুন ২০২৪,/বিকাল ৪:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit