বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

চৌগাছায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে দুর্নীতি ও অনিয়ম

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) ।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
  • ১৩৩ Time View

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে দুর্নীতি ও অনিয়মের মহাউৎসব। দেখার যেন কেউ নেই। এ অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। একটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে অফিসে দফায় দফায় দিতে হয় ঘুষ।

তথ্যঅনু সন্ধানে জানা যায়, দলিলের রেট হিসেবে লাখে ৫০০ টাকা, ওয়ারিশ সূত্রের দলীল প্রতি ২৫০০ টাকা, নাম বা যে কোন প্রত্যায়ন বাবদ দলিলে ১০০০ টাকা, আবাসিক উল্লেখ থাকলে দলিল প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ডি আর বাবদ ২০০ টাকা, পড়চায় যে কোন সমস্যায় ১০০০ টাকা ও রেজিস্টি শেষে টিপ-সহি নিতে ২০০ টাকা ঘুস দিতে হয়। অভিযোগ উঠেছে এ সকল টাকা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল ডেলিভারি ম্যান শহিদুল ইসলাম আদায় করে থাকেন। তিনি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল ডেলিভারি ম্যান পদে নিয়োগ হলেও বর্তমানে এ অফিসের পেশকারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

দীর্ঘ দিন এভাবে অফিসকে তুষ্ট করেই দলিল রেজিস্ট্রি করছেন চৌগাছার দলিল লেখকরা। তবে পত্রিকায় তাদের নাম প্রকাশ করলে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন দলিল লেখকরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, দেখার যেন কেউ নেই। এ অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে।

চৌগাছা রেজিস্ট্রি অফিসে ২ মে ২০২৪ বাদল মৃধা নামে একজন ব্যবসায়ী জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে এ সকল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এ সকল অভিযোগ নিশ্চিত হতেই সরেজমিন ও মুঠো ফোনে যশোর সদর ও চৌগাছা উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন নেতা ও একাধিক দলিল লেখকের সাথে কথা বলা হয়। তারা বললেন, ঘুষের অফিসিয়াল নামই “রেট”। এই রেট আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়ে অফিসকে দিয়ে থাকি। চৌগাছা অফিসের শহিদুল ইসলাম এই সমস্ত টাকা প্রতিটি দলিল লেখকের কাছ থেকে আদায় করেন। দিন শেষে সেই টাকা ভাগাভাগি হয়।

মুঠো ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ এপ্রিল একদিনেই ১৫৭ টা দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। আমরা তো ভাই ভাই। আমার সাথে দেখা করেন। একজন সাংবাদিক আপনার সাথে কেনো দেখা করবে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ভাই মাথা গরম করেন না। আপনি না আসলে আমি আপনার সাথে দেখা করবো। সর্বশেষ কোনো কথায় রাজি করাতে না পেরে তিনি বলেন আমি কোনো টাকা পয়সা নিইনা। আপনি যা পারেন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে জানান, বর্তমানে প্রতি বৃহ¯পতিবার রেজিস্ট্রির কাজ চলে আসছে। সাব রেজিস্ট্রার না জানলেও এ এক দিনেই শহিদুল ইসলাম অনিয়ম করে প্রায় ৩ লাখ টাকার উর্ধ্বে আদায় করেন। সে হিসেবে গড়ে যদি দলিল প্রতি ৩ হাজার টাকাও দেওয়া লাগে তাহলে একদিনেই আয় ৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। শহিদুল ইসলাম যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দেখার যেনো কেউ নেই।

এ ব্যাপারে চৌগাছা রেজিস্ট্রি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সাব-রেজিস্ট্রার অমায়িক বাবুু বলেন, আপনার এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দেন। সাংবাদিক কেনো লিখিত অভিযোগ করবে জানতে চাইলে তিনি কথা ঘুরিয়ে বলেন তাহলে তথ্য চাইলে নিয়ম মেনে দরখাস্ত করেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:৫৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit