স্পোর্টস ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ থেকে কাজ করার প্রস্তাবনা পেয়েছেন মোশারফ। তিনি ইতোমধ্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তিনি বারসি অ্যারেনায় ‘সাপোর্টিং অ্যাথলেট এন্ড পারফর্ম্যান্স’ বিভাগে কাজ করবেন।
এর আগে মোশারফ ১৪, ১৫ ও ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের প্রেস এন্ড মিডিয়া বিভাগের টিম লিডার (স্বেচ্ছাসেবক) হিসেবেও কাজ করেছেন। করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে হিডেন হিরো স্বীকৃতি ও পুরস্কার পান এই তরুণ। ‘মোশারফ হেল্পস দ্য স্নেক চারমার কমিউনিটি’ শিরোনামে যৌথভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও দ্য ডেইলি স্টার। এছাড়া দেশে বিভিন্ন প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে অর্জন করেন ১৭তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’স।
মোশারফ সময় অনলাইনের একজন নিয়মিত ফিচার প্রতিবেদক, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে লেখেন নিয়মিত। সময়ের অনলাইনে প্রকাশিত তার বেশ কিছু লেখা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। প্যারিস অলিম্পিকের স্বেচ্ছাসেবক প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালের মার্চ মাসে জনসাধারণের জন্য আবেদন উন্মুক্ত করে। ৩ মে নিবন্ধন শেষ হওয়ার পর প্যারিস আয়োজক কমিটির কাছে তিন লক্ষাধিক আবেদন জমা হয়, যা আগের দুটি অলিম্পিকের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্য থেকে মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয় ৩০ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক।
মোশারফ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এর আগে আমি কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। একাডেমিক পরীক্ষা থাকায় যেতে পারিনি। প্যারিস অলিম্পিক চলাকালে কোনো পরীক্ষা নেই, স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারব। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব এবং সেখান থেকে নতুন অভিজ্ঞতা নিতে পারব।’
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরটিতে সুযোগ পেলেও অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে মোশারফের মধ্যে। কারণ ফ্রান্সে আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া সবই করতে হবে নিজ খরচে। এজন্য তিনি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এই তরুণ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো প্যারিস অলিম্পিক থেকে জানানো হয়েছে তারা সেখানে থাকার ব্যবস্থা করতে পারবে না। এমনকি প্যারিসে যাওয়া আসাও করতে হবে নিজের টাকাতেই। সেখানে যাওয়া ও থাকা আমার জন্য ব্যয়বহুল । যদি কোনো স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে অথবা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আমার দিকে দৃষ্টি দেয় তাহলেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার সুযোগ পাব।’
কিউএনবি/আয়শা/১৬ এপ্রিল ২০২৪,/রাত ১১:৫০