মোঃ আমজাদ হোসেন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহী জজকোর্টে’র আইনজীবী মোঃ নূর-এ- কামরুজ্জামান সাক্ষরিত এক দরখাস্তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচনী তফসিলে অসংগতি দৃষ্টগোচর হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারে’র কাছে দরখাস্ত । দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন নির্বাচন, ২০২৪ – ২০২৬’র নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। যা আপনার বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য১। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন (রুয়া) এর গঠন্তন্ত্রের ৩৬ (ক) ধারা অনুযায়ী সাধারণ ও জীবন সদস্যদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে কিংবা সর্বসম্মতিক্রমে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোন সাধারণ সদ্যস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
অন্যদিকে গঠস্তন্ত্রের ১২ (ঙ) ধারা অনুযায়ী ডোনার মেম্বার (Donor Member) ভোট প্রদান করতে পারবেন না। কিন্তু লক্ষনীয় যে, ১৩জন ডোনার মেম্বার- কে চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় রাখা হয়েছে, যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। ২। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন (রুমা) এর গঠন্তন্ত্রের ৩৬ (খ) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য ৫ সদ্যস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, যেখানে কমপক্ষে ২ জন নারী সদস্য থাকবেন। অদ্যবধি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নাম ও যোগ্যতা সম্পর্কে কোন তথ্য রুয়া’র ওয়েবসাইট বা অন্যকোন মাধ্যমে প্রচারিত হয়নি। শুধুমাত্র প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নাম নির্বাচনী তফসীলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
ভোটারদের কাছে নির্বাচন কমিশনকে এভাবে অন্ধকারে রেখে ভোট আয়োজনের এই প্রক্রিয়া সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি রাবিতে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত বিতর্কিত একজন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে, যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নয় এবং এ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় তাঁর কোন অতীত অভিজ্ঞতা নেই; বিতর্কিত ও অনভিজ্ঞ ব্যক্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন নির্বাচনকে সন্দেহাতীত ভাবেই বিতর্কিত করবে। ৩। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন (রুয়া) এর গঠস্তন্ত্রের ৩৬ (ঘ) ধারা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক মনোনয়নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেবেন, কিন্তু নির্বাচনী তফসিলে সংশ্লিষ্ট বিধি ও মনোনয়নপত্রের মূল্য উল্ল্যেখ না করেই তফসিল প্রকাশ করা হয়েছে। এরূপ তফসিল গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। ৪।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ঘোষিত তফসিলে গঠন্তন্ত্রের ৩৩ ধারা অনুযায়ী কোন কোন পদে নির্বাচন হবে সে সম্পর্কে কোন তথ্য উপস্থাপিত হয়নি। এরূপ অসম্পূর্ণ তফসিল ঘোষনা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী ও আইনের লংঘন। এর ফলে নির্বাচন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে আমরা শংকিত। এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পুনঃতফসিল ঘোষনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায়, আইন ও বিধি লংঘিত হবে এবং অ্যালামনাসদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হবে ও অবিশ্বাসের জন্ম দিবে। আশা করি, সকলে মিলে আমরা একটি আদর্শ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠনে সমর্থ হবো এবং অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে কাজ করবো।
কিউএনবি/অনিমা/০৫ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৫:২৬