শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নির্মাণাধীন কাজে অতিরিক্ত বিল দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী সজল বিন রেজাকে (৩২) অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ঠিকাদার মো. রিয়াজ উদ্দিনের (৬০) বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সোমবার রাতে উপ- সহকারী প্রকৌশলী সজল বিন রেজা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দুয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার সজল বিন রেজা নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের জানান।
কেন্দুয়ায় উপজেলা প্রশাসন ভবন ও হল রুম নির্মাণ কাজটি ১৫ মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ২৬ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কাজের অগ্রগতি ৩৫%। কাজের অগ্রতির স্বার্থে উপজেলা প্রকৌশলী, এলজিইডি, কেন্দুয়া ঠিকাদারকে চারটি চলতি বিল প্রদান করেন। ঠিকাদার ৫ম চলতি বিলের জন্য আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কাজের তদারকী কর্মকর্তা কৃতকাজের বিপরীতে ৫ম চলতি বিলের মাপ বহি লিপিবদ্ধ করেন। কিন্তু ঠিকাদার অতিরিক্ত বিলের জন্য দাবী করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন ভবন ও হলরুম নির্মান কাজ করছিলেন উপজেলার কান্দিউড়া গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিন। এরই মধ্যে ঠিকাদারকে চলতি চারটি বিল প্রদান করা হয়। ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন ওই কাজের বিপরীতে অতিরিক্ত বিল দাবি করছিলেন। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী সজল বিন রেজাকে অতিরিক্ত বিল দিতে চাপ দিচ্ছিলেন। গত রোববার (৩ মার্চ) সজল বিন রেজা প্রকল্প এলাকায় যান। তিনি ঠিকাদারকে সরকারি কাজ না করে অতিরিক্ত বিল দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান।
এতে ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং উপ- সহকারী প্রকৌশলীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তাকে মারতে উদ্যত হন ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন। প্রকৌশলী সজল বিনের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে রিয়াজ উদ্দিন চলে যান। তবে সময় সুযোগ পেলে প্রকৌশলী সজল বিন রেজাকে খান করার হুমকি দেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার রাতে কেন্দুয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঠিকাদার রিয়াজ উদ্দিন ঘটনার দিন বিকেলে তার লোকজন দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মিছিল বের করেন।
ঠিকাদার মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন অতিরিক্ত বিল দাবি করিনি এবং প্রকৌশলীকে কোন হুমকি ধমকি দেইনি। তাকে কোন ধরনের গালিগালাজও করিনি। আমার কাজের টাকা চেয়েছি।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ মার্চ ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:২৮