খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আব্দুল হালিম একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বহুদিন। তার চাকুরি জীবনে ডজন খানেক ফৌজদারী মামলাসহ বহুবার বিভাগীয় মামলার সম্মুখিন হয়েছেন। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ঢালী কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ৫ বছরে বিদ্যালয়ের শিক্ষর্থী, অন্যান্য শিক্ষক, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবগগণ প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবী করে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রধান শিক্ষক সরকারি বই শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি, সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তিগত দখলে নেয়া, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাৎ, সনদ বাণিজ্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদত্ত শিক্ষার্থীদের অনুদান আত্মসাৎ ও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে ব্যক্তিগত কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে এলাকায় গুঞ্জণ রয়েছে।এই শিক্ষকের অধিনে পরীক্ষার ডিউটি করা কয়েকজন শিক্ষক জানায়, এই প্রধান শিক্ষক তাদের পরীক্ষার ডিউটির টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল হালিম জানায়, তিনি একটি স্কুল কমিটির নির্বাচন কেন্দ্র করে স্থানীয়দের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাজুল ইসলাম বলেন, এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেক অভিযোগ ছিল। অভিযোগ তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এবারও এলাকাবাসী ১১টি অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে লিখিত আবেদন করেছেন। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করব। সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/দুপুর ২:১২