আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্যারিসে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশর কর্তৃক গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের খসড়া প্রস্তাবটি পড়ে দেখছে হামাস। তবে, ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, এরই মধ্যে ছিটমহলটিতে প্রায় ৩০ হাজার বেসামরিক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এ ছাড়াও যুদ্ধের কারণে গাজার ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশিরভাগই ক্ষুধার্ত বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
তিনি বলেন, ‘ওই প্রস্তাবে গাজায় উল্লেখযোগ্য হারে সাহায্য বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে।’একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, গাজার হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করা হবে এবং একটি চুক্তির অংশ হিসাবে প্রতিদিন ৫০০টির মতো সাহায্য ট্রাক ছিটমহলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রস্তাবটিতে উত্তর গাজা উপত্যকায় সকল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিরা কাতারের রাজধানী দোহাতেও পৃথক আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মধ্যস্থতাকারীরা ১০ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন বলে জানা গেছে। বাইডেন মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন টিভিতে প্রচারিত মন্তব্যে বলেছেন, ‘রমজান আসছে এবং ইসরায়েলিদের দ্বারা একটি চুক্তি হয়েছে যে, তারা রমজানের সময়ও কোনও প্রকার হামলায় জড়িত হবে না, যাতে সকল জিম্মিদের বের করার জন্য সময় দেওয়া যায়।’
কিউএনবি /আয়শা/২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/বিকাল ৫:৫৪