শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় জেলা প্রশাসকের সাথে মত বিনিময় সভায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসানের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রাজু আহমদ রাজ্জাক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ, পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী ও মো. নিজাম উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিভিন্ন সময় কটুক্তির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান অপদস্ত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কাজে বাধা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময় হেয় প্রতিপন্ন করায় দুই বছর ধরে আমারা প্রশাসনিক কোন সভায় অংশ নেই না। মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১২টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজের মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে নিজের ক্ষমতা বলে সাব কাজ বাগিয়ে নিয়ে সে কাজগুলি করেনি চেয়ারম্যান। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে তারই প্ররোচনায় আরও ৪৯টি সহ মোট ৬১টি বীর নিবাসের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, মতবিনিময় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা (বীর মুক্তিযোদ্ধারা) প্রশাসনের কোন সভায় যোগদান করেন না। জেলা প্রশাসক স্যারের সম্মানে তারা ওই সভায় এসেছিলেন বলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা আজ সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। মুক্তিযোদ্ধারা যে দপ্তরে যাবেন সম্মানের সহিত সবার আগে সেই সেবাটি দিতে হবে। পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের সাথে তার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৫:৩৪