আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর চালানো হামলায় ‘ভুল’ ছিল। তবে গোষ্ঠীটির দাবি, তাদের যোদ্ধারা শুধুমাত্র ইসরায়েলি সেনা আর অস্ত্র বহনকারী লোকেদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণ অঞ্চলে তাণ্ডব চালায়। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলির প্রাণ যায়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক। আর ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। নভেম্বরের শেষ দিকে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে প্রায় ১০০ বন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস। তখন ইসরায়েলি কারাগার থেকেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেকে মুক্তি পান।
ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হামলা চলাকালে হামাস যোদ্ধারা নির্যাতন, ধর্ষণ ও অঙ্গচ্ছেদের মতো যুদ্ধাপরাধ করেন। তবে হামাস যৌন সহিংসতা ও অঙ্গচ্ছেদের অভিযোগ অস্বীকার করে। প্রতিবেদনটি বলছে, হামাসের পরিকল্পনা ছিল ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো এবং সৈন্যদের বন্দি করা, যাতে কারাগারে বন্দি হাজারো ফিলিস্তিনিকে ছাড়তে দেশটির কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।
গোষ্ঠীটি বলছে, বেসামরিক লোকদের ক্ষতি এড়ানো হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধাদের ধর্মীয় ও নৈতিক প্রতিশ্রুতি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা হয়ে থাকলে তা ঘটনাক্রমে ঘটেছে এবং দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ে ঘটেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতন এবং গাজার নিকটবর্তী অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার কারণে হামলার সময়ে সম্ভবত কিছু ভুল হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২২ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৩:০৫