লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কাঁচা হলুদ বিশেষ উপকারী। কোনও প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই এটা সরাসরি খাওয়া হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। অন্যদিকে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে বাজারে হলুদগুঁড়া পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের শরীরের জন্য কোনটি বেশি উপকারী। কাঁচা হলুদ এবং হলুদগুঁড়ার উপকরণ এক হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে হলুদগুঁড়ার তুলনায় কাঁচা হলুদ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং উপকারী।
কাঁচা হলুদে আছে অনেক বেশি কারকিউমিন ও এসেনশিয়াল অয়েল। রোগপ্রতিরোধ শক্তি, পুষ্টিগুণ এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। সজলভ্যতার জন্য হলুদগুঁড়া বেশি জনপ্রিয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়েটে কাঁচা হলুদ ও হলুদগুঁড়া মিলিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই সেরা ফল মিলবে। শুধু পরিমাণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
কাঁচা হলুদের উপকারিতা
টক্সিন দূর
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি, অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদানে ভরপুর হলো কাঁচা হলুদ। শরীর থেকে টক্সিন ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে কাঁচা হলুদ।
মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ
পিত্ত উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ হলুদের কারকিউমিন৷ মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক৷
উজ্জ্বল ত্বক
পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের কোষে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহ বজায় রাখে৷ ফলে ত্বক থেকে ব্রণ, অ্যাকনে ও অন্যান্য সংক্রমণ দূর করে৷
রোগ প্রতিরোধ শক্তি
কাঁচা হলুদে থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য৷ তাই সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে৷ সর্দিকাশি-সহ মরশুমি রোগ থেকে রক্ষাকবচ তৈরি করে৷
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
সকালে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়৷ ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হলে সার্বিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে কাঁচা হলুদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে৷