স্পোর্টস ডেস্ক : এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ভুঁইয়া। তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রূপগঞ্জের গন্ধবপুর নুরুল হক মার্কেট থেকে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। জনে জনে লিফলেট বিতরণ করে তাদের কাছে ভোট চান এবং নানা প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এসময় তৈমুর আলম খন্দকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ করেন সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এবং কেউ যাতে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য দেশের সব জেলার পুলিশ সুপারদের যথাযথভাবে আইন প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গতকাল সকালে চনপাড়া বস্তিতে আমার সমর্থকরা পোস্টার লাগাচ্ছিল তখন এমপি সাহেবের লোকরা সে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া আমার সকল হ্যান্ডবিল তারা নিয়ে যায় এবং ৩ কর্মীকে অনেক মারধর করে।
আমি বিষয়টি এসপি সাহেবকে জানিয়েছি। এসপি সাহেব তৎক্ষণাৎ ব্যাবস্থা নিয়েছেন। পরে বিকেলের দিকে পুলিশ পাঠালে তাদের নিরাপত্তায় আমার কর্মী সমর্থকরা পোস্টার লাগায়। আমি বাংলাদেশের সকল এসপিকে অনুরোধ করবো, আপনারা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড ঠিক রাখবেন। কেউ যেনো কারো পোস্টার ছিঁড়তে না পারে এবং কোন প্রার্থী কিংবা ভোটারকে হুমকি যেন না দিতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জের এসপি সাহেব যেভাবে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন ঠিক তেমনিভাবে অন্যান্য জেলার এসপি সাহেবকেও একইভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তবে ‘কারো ভয়ে বা চোখ রাঙানিতে তৈমুর আলম খন্দকার মাঠ ছেড়ে যাবে না’ এমন ঘোষণাও দেন তিনি।
অন্যদিকে, উপজেলার তারাবো এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে গণসংযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান ভুঁইয়া। তিনিও প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও হুমকির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিন্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান। সাংবাদিকদের শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা জনগণের যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। আশা করি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেতলি মার্কা বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করবে। আমি এমপি নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জের চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর করবো। আপনারা জানেন, রূপগঞ্জে অনেক প্রকল্পের নামে জমি ক্রয় না করে বালু দিয়ে ভরাট করে জমি দখল করছেন। এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো, যেন কারো জমি দখল হয়ে না যায়।’
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, পুরো রূপগঞ্জেই মন্ত্রী গাজীর নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মারধরসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এরইমধ্যে থানায় মামলা করেছি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, ‘রূপগঞ্জে এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আপনারা জানেন, তিনি যমুনা ব্যাংকের ডিরেক্টর। তার ছেলেও একই ব্যাংকের ডিরেক্টর। এই ব্যাংকের ২২ জন কর্মকর্তাকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি যেন যমুনা ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব না দেন। তা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’
কিউএনবি/আয়শা/২৩ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪৮