আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলি সমর বিশ্লেষক ইয়োভ জিতুন লিখেছেন, লড়াইয়ের ময়দানে হামাস প্রতিদিনই সক্ষমতা দেখিয়েছে। হামাসের শক্তিমত্তা দেখে অবাক হয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে প্রমাণ করে কয়েক বছর ধরে কিভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইল দখলদারিত্ব ঠেকিয়ে দিয়েছে হামাস।
ইয়োভ জিতুন লিখেছেন- যদিও ইসরাইল ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা হামাসকে উৎখাত করতে চেয়েছে, কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে ইসরাইলি বাহিনী প্রতিদিনই হামাসের সক্ষমতা দেখে অবাক হয়েছে। তারা (হামাস) একটি সত্যিকারের সেনাবাহিনী; যা কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে তেল আবিব থেকে মাত্র ৫০ মিনিটের পথের দূরত্বে।
জিতুন বলেন, তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আরপিজি শেলসহ লক্ষাধিক অস্ত্র রয়েছে। যেগুলো তাদের প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। তাদের কাছে উন্নত রকেট লঞ্চার, বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ও আক্রমণকারী ড্রোন রয়েছে। যেগুলো মূলত গত দশকে গাজা উপত্যকায় বিধ্বস্ত হওয়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্কাই রাইডার ড্রোনের অনুলিপি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
জিতুনের মতে, উল্লিখিত অস্ত্রগুলোর বাইরে হামাস যোদ্ধাদের কাছে মেশিনগান, কালাশনিকভ রাইফেল, ড্রাগনভ স্নাইপার রাইফেল, উন্নত যোগাযোগ যন্ত্র, বিভিন্ন মান ও আকারের বিস্ফোরক ডিভাইস এবং অগণিত পরিমাণ অস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা রয়েছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিজাত গোলান ব্রিগেডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, হামাস গাজা শহরের সুজাইয়ায় তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটালিয়ন স্থাপন করেছে। সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেই এলাকায় যোদ্ধারা জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে, তারা সেই জায়গার সঙ্গে যুক্ত, তারা কখনোই সেখান থেকে পালিয়ে যাবে না। বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে, সুজাইয়াকে সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত করতে আমাদের প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৭ জনে।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় হতাহতের এ সংখ্যা জানান আশরাফ আল-কুদরা। তিনি জানান, ৬৩ দিন ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৯ হাজার ২২৯ জন।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
কিউএনবি/আয়শা/১১ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫২