ডেস্কনিউজঃ রেড ক্রসের কাছে হামাস ১৭ পণবন্দীকে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী।
রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, সেনাবাহিনীকে দেয়া রেড ক্রসের তথ্য অনুযায়ী ১৭ জনকে হামাস হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে ১৪ ইসরাইলি ও তিনজন বিদেশী নাগরিক।
হামাস-ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের বিরতি ও বন্দী বিনিময় চলছে। ইসরাইল এখন পর্যন্ত ৭৮ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। যার মধ্যে ৩৯ জন শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এবং শনিবার আরো ৩৯ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এই মুক্তির পরও আট হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি হেফাজতে রয়ে গেছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২০০ জনের বেশি প্রশাসনিক বন্দী রয়েছে যাদের কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ হাজার ৮৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল এবং আল-জাজিরা
কিউএনবি/বিপুল/২৬.১১.২০২৩/ রাত ১০.৩৯