আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গাজা সীমান্তের কাছাকাছি অপেক্ষা করছে তিন লাখেরও বেশি সেনা। সেখান থেকেই রাত নামলেই হামলা পরিচালনা করছে ইসরাইলের ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনী। রোববার রাতেও হামাসের ৪৫০ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করছে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডও।
তবে ইসরাইল বলছে, এখনো স্থল হামলা জোরদার করেনি সেনারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ হতে পারে মাটির নিচে হামাসের ৫০০ কিলোমিটারের গোপন টানেল। ইসরাইলের বর্বর সেনাদের মোকাবিলায় গত কয়েক দশক ধরেই দুর্বোধ্য এই টানেল নেটওয়ার্কের সৃষ্টি করেছে মুক্তিকামী সংগঠনটি। কিন্তু ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, কাসেম ব্রিগেডের ‘ক্যান্টনমেন্ট’ হিসাবে ব্যবহৃত হামাসের এই গোপন টানেলে এবার ‘স্পঞ্জ বোমা’ হামলা চালাবে ইসরাইল। হামাসের এই সুড়ঙ্গদুর্গ ধ্বংসেই এই বোমা বানিয়েছে তেল আবিব। স্পঞ্জ বোমায় সাধারণত কোনো বিস্ফোরক থাকে না। তবে বন্ধ করবে টানেলের মুখ। আটকে পড়বে ভেতরে থাকা হামাসের সেনারা।
হামাসের টানেল পর্যবেক্ষণে রোবট আর ড্রোনও ব্যবহার করতে পারে ইসরাইল। আইআরআইএস নামে এক ধরনের ছোট ও নিক্ষেপযোগ্য ড্রোন তৈরি করেছে ইসরাইল-ভিত্তিক রোবটিয়াম প্রযুক্তি কোম্পানি। ড্রোনটি ‘থ্রোবট’ নামেও পরিচিত। পরিচালনা করা যায় রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে। শত্রুপক্ষের কাউকে লক্ষ্যবস্তু করতে কিছু কিছু ডিভাইসে আবার অস্ত্র যুক্ত থাকতে পারে। আইআরআইএসের পাশাপাশি এমটিজিআর তৈরি করেছে ইসরাইল। বিভিন্ন ভবন আর সুড়ঙ্গগুলোতে ব্যবহার উপযোগী করে ডিভাইসটির ডিজাইন করা হয়েছে। এটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেও সক্ষম।