ডেস্ক নিউজ : আল্লাহর কাছে কী চাইব আমরা? এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। বৈধ সব জিনিসই তার কাছে চাওয়া যায়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় প্রয়োজন ছোট বড় সবকিছুই তার কাছে চাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। ব্যক্তিবিশেষ যার যেটা প্রয়োজন সে তা চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
কারও সুস্থতার প্রযোজন, সে রবের কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া করবে। কারও চাকরি-বাকরি প্রয়োজন, কারও খাদ্য-পানীয় প্রয়োজন। আবার কেউ পারিবারিক জীবনে অসুখী, সে তার সুখময় জীবনের জন্য দোয়া করবে। কেউ নিঃসন্তান, সে আল্লাহর কাছে নেক সন্তান চাইবে। মোটকথা ছোট থেকে ছোট কিংবা বড় থেকে বড় সবকিছুই তার কাছে চাওয়ার সুযোগ আছে।
ইরশাদ হয়েছে, হজরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন যাবতীয় প্রয়োজনের জন্য তার রবের কাছ চায়। এমনকি জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলে তাও। -সুনানে তিরমিজি : ৬৩০৪
আল্লাহর কাছে না চাইলে তিনি রাগান্বিত হন
দুনিয়ার নিয়ম হলো, কেউ কারও কাছে কিছু চাইলে সে রাগান্বিত হয়। কখনো বিরক্তি প্রকাশ করে। আবার কখনো একাধিকবার গেলে তাড়িয়ে দেয়। কেউ আবার কোনো কিছু দিতে কার্পণ্য করে। কিন্তু আল্লাহর ব্যাপারে বিষয়টা নিতান্তই ভিন্ন। তার কাছে না চাইলে তিনি রাগান্বিত হন, অসন্তুষ্ট হন। বান্দাকে দিতে কার্পণ্য করেন না। তার ধনভাণ্ডারে তো কোনো কিছুর অভাব নেই। তবুও মানুষ চায় না। কেউ চাইলেও চাওয়ার মতো করে হয় না, বিধায় নিতে পারে না। মূলত আল্লাহতায়ালা সর্বদা বান্দাকে দিতে প্রস্তুত। তবুও মানুষ প্রার্থনা না করে উদাসীনতায় মত্ত থাকে।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর কাছে চায় না আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন।’ -তিরমিজি : ৩৩৭৩
কিউএনবি/আয়শা/২৭ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ১:৫০