স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে বৃদ্ধা রহিমা বেগম ২৩ বছর আগে জমি কিনে বাড়ি ও রাস্তা নির্মান করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে প্রতিপক্ষরা(পাশের জমি ওয়ালা) গতকাল শুক্রবার সকালে ১০ টি চারাগাছ কেটে ফেলেন। চারা কেটেই তারা ক্ষ্যান্ত হননি। চারা কাটার পর তারা মাটিকেটে রাস্তাটি দখল করেছে। ফলে বাড়ি থেকে বের হবার রাস্তাটি হাতছাড়া হওয়ায় বৃদ্ধা রহিমা বেগম ও তার পরিবার প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আবদুস সামাদ বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা বেগম(৮৫) জানান, ২০০০ সালে তিনি প্রতিবেশী চৌকিদার ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী সুন্দরী বিবির কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। হোগলাডাঙ্গা মাদ্রাসার দক্ষিন পাশের ওই জমিটি ক্রয় করেন তার বড় ছেলে হোমিও চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাকের নামে। সেই থেকে ওই জমিতে বাড়ি ও রাস্তা নির্মান করে দুই ছেলেসহ পরিবারবর্গ নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ব্যক্তিগত জমির উপর নির্মিত রাস্তার পাশে সম্প্রতি ১০ টি লম্বুগাছের চারা রোপন করেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেশী আমজাদ হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ও জাহিদ হোসেন শুক্রবার সকালের দিকে লোকজন নিয়ে রাস্তার পাশ থেকে সব চারা কেটে ফেলেন।
এ ছাড়াও তারা রাস্তা থেকে মাটি কেটে নেয়। এ সময় রহিমা বেগম, ছেলে আবদুর রাজ্জাক ও আবদুল হাই বাধা দিলেও তারা কর্নপাত করেনি। রহিমা বেগম ও তার বড় ছেলে আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, বাধা দেওয়ায় তারা এখন জিবননাশসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগীরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির লিটনের দারস্থ হয়। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ১০ টি চারা এবং মাটি কেটে রাস্তাটি দখল নেওয়া হয়েছে। এ সময় কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাসেম আলীর সাথে। তিনিসহ উপস্থিত অধিকাংশ লোকজন বলেন, আবদুর রাজ্জাকরা জমি কিনে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মান করেছেন সেই ২০০০ সাল থেকে। তবে প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন বলেন, রাস্তার পাশে গাছ লাগালে আমাদের ফসলের ক্ষতি হবে। সেজন্য কেটে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার ভেতর আমাদের জমি রয়েছে। তাই সামান্য মাটি কেটে নিয়েছি। এ ব্যাপারে হরিদাসকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর কবির লিটন জানান, বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ করা হলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২০ অক্টোবর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫৩