আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান এক বিবৃতিতে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান।
গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা ১১ লাখ মানুষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাসস্থান ত্যাগ করার ইসরাইলি হুকুম এবং বিরামহীন বোমাবর্ষণে গাজার সব বেসামরিক অবকাঠামোকে ধ্বংস করা ঠাণ্ডা মাথায় ইতিহাসের ঘৃণ্যতম যুদ্ধপরাধ ছাড়া আর কিছু নয়।
নাৎসি হিটলারের বর্বরতাকে হার মানানোর আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ইসরাইলি আক্রমণকে অবিলম্বে বন্ধ করতে সারা বিশ্বকে সক্রিয় উদ্যোগ নিতে তারা আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজা ভূখণ্ডের হামাস প্রতিরোধযোদ্ধার ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার হরণ, সুদীর্ঘ নিপীড়ন ও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বেআইনি ‘সীমান্ত প্রাচীর’ ভেঙে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে নির্মিত বেআইনি বসতি ও সামরিক স্থাপনার উপর বীরত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান চালায়।
৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তির বরখেলাপ এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোকে অবজ্ঞাকারী ইসরাইলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি ন্যায়সঙ্গত প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য হবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে গাজায় সব মানবিক সহায়তা বন্ধ করার ঘটনায় ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের মতো গুটিকয়েক দেশ গাজার অধিবাসীদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ায় তাদের উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ সরকারের গাজায় ইসরাইলি হামলার বিষয়ে প্রদত্ত বিবৃতিটি বাংলাদেশের আরব রাষ্ট্র সংক্রান্ত পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশি পাসপোর্ট থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের কার্যত ইসরাইল ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে প্রাসঙ্গিকভাবে নিন্দা জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা জ্ঞাপক নির্দেশনাটি পুনঃপ্রবর্তন করার জোর দাবি জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।
এছাড়া অবিলম্বে ইসরাইলের বর্বরতাকে নিন্দা জানিয়ে গাজাবাসীর পাশে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও সংহতি ব্যক্ত করার দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।
কিউএনবি/আয়শা/১৬ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ৮:৪৯