ডেস্ক নিউজ : আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চাইলেও সবসময় দীনি পরিবেশে থাকা সম্ভব হয় না। জীবনে চলার বাঁকে বিভিন্ন ধর্মের, বর্ণের, চরিত্রের মানুষের সঙ্গে আমাদের মিশতে হয়; কথা বলতে হয়। আর সবার সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতাও একরকম হয় না। আলাপচারিতায় ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় শুনতে হয় পরনিন্দা, অহেতুক কথাবার্তা। কখনো কখনো খুবই অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথা শুনে মনটা ভারী হয়ে যায়।
দুঃখের বিষয় হলো, মাঝে-মধ্যে নিজেরাও মুখ ফসকে অযাচিত অনেক কথা বলে ফেলি। তারপর অনুশোচনায় ভুগি। এমনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সময় নষ্ট করা মজলিস থেকে ওঠার পর অনুভব করি অন্তরটা কেমন যেন কঠিন হয়ে গেছে। আগের মতো আর আল্লাহভীতি কাজ করছে না।
তবে আশা করা যায়, সুন্নত এই আমলটি করলে অন্তরের কাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ এমন মজলিসে বসে, যাতে খুব বেশি হৈ-হুল্লোড় হয়, তারপর সে মজলিস ত্যাগ করার সময় বলে (উচ্চারণ) ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক’ (অর্থ : প্রশংসার সঙ্গে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি হে আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি আর তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করছি।) তবে সে মজলিসে করা গোনাহের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ সুনানে তিরিমিজি : ২৭৩০
হজরত আয়েশা সিদ্দিক (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো মজলিসে বসেছেন, কোরআন তেলওয়াত করেছেন কিংবা নামাজ আদায় করেছেন অথচ এই দোয়া পড়েননি এমনটা কখনোই হয়নি।’
কিউএনবি/আয়শা/০৯ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ৮:৪৫