ডেস্ক নিউজ : কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা আলু, পেঁয়াজ ও সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক সময় করতে পারছি না। মূল্য নির্ধারণ করেও তা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। এটা আমাদের দুর্বল দিক। কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা আমাদের সহযোগিতা করছে না। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা তদারকি করতে গেলে তারা কোল্ড স্টোরেজ বন্ধ করে দেয়, সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, বাজারে চালের দামের তুলনায় সরকারি পর্যায়ে বেশি। ফলে সরকারের কাছে ধান-চাল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কৃষক উপকৃত হলে তা সবার জন্য মঙ্গল। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভিয়েতনামে প্রতি টন চাল ৬৭০ ডলার দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে সেখানে প্রতি টন চাল মাত্র ৩২০ ডলারে বিক্রি হতো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মোটেও হাল ছাড়িনি। উৎপাদন দেখে কৃষি মন্ত্রণালয় আর বাজারটা দেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সুতরাং কারও দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রচুর পরিমাণ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কারণ পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল কৃষিপণ্য, সংরক্ষণ করা যায় না। দেশে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টন সবজি উৎপাদন হয়। ২০০৯ সালে সবজির উৎপাদন ছিল মাত্র ৩০ লাখ টন। গত ১৫ বছরে সবজির উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজির দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষক বঞ্চিত হওয়ায় আমরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বিলম্ব করেছি। আলুও দ্রুত পচনশীল একটি কৃষিপণ্য। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকরা বাড়তি দামে বিক্রি করছে। তবে আশার কথা হলো- কৃষি বিজ্ঞানীরা আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। আগামী দিনে আলু ও পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ১০:০০