আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেষ হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। বৈশ্বিক সংকট সমাধানে নয়াদিল্লির এ সম্মেলনের অর্জন, সফলতা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশ্বনেতাদের মিলনমেলায় কোন কোন বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিল্লি ঘোষণার সমালোচনা করে বলেছেন, সেখানে কিয়েভের পক্ষ থেকে ‘গর্ব করার’ মতো কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওই যৌথ বিবৃতিতে শক্ত কোনো শব্দ ব্যবহার করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়। ওই মুখপাত্র বলেন,
যৌথ ঘোষণায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ উল্লেখ না করে, ইউক্রেন যুদ্ধ উল্লেখ করে মস্কোকে এক ধরনের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।তবে মস্কো বলছে, এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে খুবই কঠিন আলোচনা হয়েছে। এরপরই যৌথ ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিল্লি ঘোষণাকে ভারসাম্যপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তা মূলত ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অবস্থানই প্রকাশ করে। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা নেয়া হয়েছে; যৌথ বিবৃতিতে সেটিরই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তবে সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ না নেয়ায় কোনো কোনো বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলো একটু বেশি সুবিধা পেয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কিউএনবি/আয়শা/১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:২১