স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের ক্রিকেটে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গত ইংল্যান্ড সিরিজের পরে বিশ্রামের কথা বলা হলেও তাকে আর দলে রাখেননি নির্বাচকরা। অন্যদিকে টাইগারদের মাথা ব্যথার বড় কারণ সাত নম্বর পজিশন। যেখানে রিয়াদের পরিবর্তে মিরাজ, আফিফ, শামীম, ইয়াসিরদের খেলিয়েও সমাধান খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। অনেক ক্ষেত্রে শোনা যায়, টাইগার কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না রিয়াদের।
হাথুরুর সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব আছে বিশ্বাস করেন না সুজন। সুজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাথুরু খুবই সৎ। হাথুরু মনে করছেন রিয়াদ ফর্মে নাই, রান করছে না তাই রাখেননি । হাথুরুর সঙ্গে কারো দ্বন্দ্ব নেই। ও (হাথুরু) সেরা দল খেলাতে চায়। আমি আসলে জানি না কেন রিয়াদ দলে নেই। রিয়াদের ফিটনেস খারাপ, ফিল্ডিং খারাপ আমার জানা নেই। আমি যেহেতু সিস্টেমের মধ্যে ছিলাম না। এখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার কথা হচ্ছে রিয়াদের দলে না থাকার কারণ কী? রিয়াদ না থাকলে তাকে নিশ্চয়ই না থাকার কারণ জানানো হয়েছে।
সুজন প্রসঙ্গ তুলেছেন শততম টেস্টের। পাশাপাশি হাথুরুকে সফল কোচ মনে করেন তিনি। সুজন বলেন, ওই ম্যাচে মোসাদ্দেককে খেলাল ও সত্তরের বেশি রান করল। আমরা সিরিজ ড্র করলাম। আপনি এটা চান না, আপনি বাংলাদেশের সাফল্য চান না? কেউ কিন্তু এটা বলে নাই হাথুরুসিংহে ব্যর্থ।
তিনি আরও বলেন, আমার জন্য রিয়াদ মোসাদ্দেক একই প্লেয়ার। দলের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ সে খেলবে। হাথুরুসিংহে ব্যর্থ না, হাথুরু তো রিয়াদের শত্রু না। হাথুরুসিংহে উচ্চ বেতনভোগী কোচ, আমরা যদি মনে করি ওকে দিয়ে কাজ হবে না ও চলে যাবে না। আবেগ রাখা যাবে না, দলের প্রয়োজনে ১১ জন খেলবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শেন জার্গেনসনের চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরুসিংহে। তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ কাটিয়েছে দুর্দান্ত সময়। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল- সবই এসেছে তার আমলে। ২০১৭ সালে হঠাৎ পদত্যাগ করেন হাথুরু। এরপর আবার এ বছর ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে আছেন হাথুরুসিংহে। তার দায়িত্বের দুই মেয়াদেই অভিযোগ উঠেছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বের।
কিউএনবি/অনিমা/০৯.০৯.২০২৩/সন্ধ্যা ৭.৩৬