আজ থেকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মিশন শুরুর জন্য আর্জেন্টিনার ক্যাম্পে যোগ দেবেন মেসি। তার ঠিক কয়েকঘণ্টা আগে হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে মেসিকে শুরু থেকেই খেলান কোচ জেরার্দো মার্তিনো। ২২ হাজার আসনের বিএমও স্টেডিয়ামে এদিন শুরু থেকেই পাল্টাপাল্টি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে প্রথম কয়েক মিনিটে মায়ামির চেয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসই আক্রমণে বেশি এগিয়ে ছিল। প্রথম ১৩ মিনিটের মধ্যে একাধিক সহজ সুযোগ হাতছাড়াও করে তারা। এমনকি গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ডেনিস বোয়াঙ্গা।
অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ পেলেও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো ভুল করেনি ইন্টার মায়ামি। ১৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে লিড এনে দেন ফারিয়াস। সতীর্থ টিমো আভিলেসের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক স্লাইডিং শটে লক্ষ্য খুজে নেন ফারিয়াস।
একটু পরই অবশ্য সমতা ফেরাতে পারত লস অ্যাঞ্জেলেস। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়ে আবারও গোল করতে ব্যর্থ হন বোয়াঙ্গা। এরপর ২৬ মিনিটে সুযোগ পেয়ে আবার গোল করতে ব্যর্থ হয় লস অ্যাঞ্জেলেস। পরের মিনিটে মেসির শট রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
৩৪ মিনিটে আরেকবার মায়ামিকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। ৩৮ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেসিকে দারুণভাবে রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
বিরতির পর লস অ্যাঞ্জেলেসের ম্যাচে ফেরার পথ আরও কঠিন করে দেন মেসি-আলবারা। ৫১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণভাবে মেসি বল বাড়ান আলবার উদ্দেশে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিশ তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য হাল ছাড়েনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে কখনো নিজেদের ভুলে আবার কখনো ইন্টার মায়ামি গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভে গোল পাওয়া হচ্ছিল না তাদের। ৬০ মিনিটে এমনই এক সেভে বোয়াঙ্গার শট রুখে দেন ক্যালেন্ডার। ৮৩ মিনিটে আবার মেসির ঝলক। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে নিজে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বাড়িয়ে দেন সতীর্থ কাম্পানাকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে দলের হয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন কাম্পানা। এরপর অন্তিম মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে রায়ান হোলিংশেড এক গোল করে ব্যবধান কমালেও তা শুধু সান্ত্বনাই দিয়েছে।
লিগস কাপে টানা জয় ও গোল্ড কাপের সেমিফাইনাল জয়ের পর এমএলএসে মেসি খেলতে নেমেই জিতেছিলেন। তবে পরের ন্যাশভিলের সঙ্গে গোলশূণ্য ড্র করে। অন্য কনফারেন্সের দল লস অ্যাঞ্জেলসকে হারিয়ে ২৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ইস্ট কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার ১৪ নম্বরেই থাকল মায়ামি। তাদের নিচে কেবল টরোন্টো।
৭ ও ১২ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনার দুটি ম্যাচের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর মায়ামির পরের ম্যাচে খেলবেন না মেসি। ১৬ সেপ্টেম্বর মায়ামির পরের ম্যাচে তাকে দেখা যেতে পারে। মায়ামির আরো ৯টি ম্যাচ বাকি।